সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সরকারের যে কোনও সংস্থা যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে ভিসা দেওয়া হবে না। এই মর্মে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় সতর্কবাতা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সতর্কবার্তার পর এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (Digital Security Act) নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের র্যাপোর্টিয়ার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রসংঘের (UN) চরম দারিদ্র্য এবং মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক অলিভিয়ার ডি শ্যুটার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সুশীল সমাজের উপর সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নানাবিধ প্রভাব খাটানো হচ্ছে।
অলিভিয়ার আরও বলেন, ”এই আইনের অধীনে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগের কারণে আটক করা হয়েছে।” বাংলাদেশ যে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে চাইছে। সেকথা উল্লেখ করে অলিভিয়ারের মত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যা ঘটছে, তাতে তারা শঙ্কিত হয়ে পড়বেন। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করবে।
[আরও পড়ুন: আইপিএল জয়ের পরেই হাসপাতালে ধোনি, কী হয়েছে ক্যাপ্টেন কুলের?]
অলিভিয়ার ডি শ্যুটার বাংলাদেশে ১২ দিন ধরে সফর করেছে। আর ভিত্তিতে তাঁর বক্তব্য, মানুষকে দরিদ্রতার মধ্যে রেখে একটি দেশ তার আপেক্ষিক সুফল বা উন্নয়ন ভোগ করতে পারে না। ডি শ্যুটার মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যূত কক্সবাজারের (Cox’s Bazar) শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানে ৯ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৯৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে তাদের মাতৃভূমির গণহত্যার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পালিয়ে এসেছে। প্রায় ১ মিলিয়ন শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে জনাকীর্ণ দেশ বাংলাদেশের সরকারকে অভিবাদন জানানোর পাশাপাশি আশ্রয় শিবিরের বসবাস-অনুপযোগী অবস্থার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সৌরভ দাসের মেয়াদ শেষ, পরবর্তী রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে বসবেন কে? মুখ খুললেন রাজ্যপাল]
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে উৎসাহিত করতে গত ২৪ মে নতুন ভিসা (Visa) নীতি ঘোষণা করেছেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই পদক্ষেপের পর যে প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, তা আগে থেকেই অনেকটা অনুমান করা গিয়েছিল। শাসকদল আওয়ামি লিগ ও তার সমর্থকরা এই পদক্ষেপের গুরুত্ব রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ আসলে অবাধ নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিকেই সমর্থন করছে। বিরোধীদের সাবধান করে দিয়ে জানানো হয়েছে, ভোটের সময় হিংসায় জড়িত কর্মীদের ক্ষেত্রেও এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।