সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতজন নয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মায়ানমারে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন গণতন্ত্রকামীর। সেনা-পুলিশি বর্বরতায় জখম হয়েছেন আরও ৩০ জন। এমনই দাবি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার (UN Human Rights Office) দপ্তরের।
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে পথে নেমেছে মায়ানমারবাসী। শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। আর সেই আন্দোলনকে দমন করতে মরিয়া সেনা-পুলিশ-প্রশাসন। সেই উদ্দেশ্য সফল করতে রবিবার ইয়াঙ্গন, মান্দালয়, দাওয়ে, বোগো, পোকোকু শহরে বর্বরোচিত আক্রমণ চালায় পুলিশ-প্রশাসন। কার্তুজ, টিয়ার গ্যাস, লাঠি নিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর চড়াও হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। বেশ কিছু এলাকায় ছোড়া হয় স্টান গ্রেনেডও। তারই আঘাতে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন : মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরাতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে সেনাশাসকদের উদ্দেশে সাফ বার্তা ভারতের]
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র রাভিনা সামদেশানি জানান, “মায়ানমারে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের উপর বাড়তে থাকা হিংসার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। সেনাবাহিনীকে বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আরজি জানাচ্ছি।” প্রসঙ্গত, সেনার বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন আমজনতা। গণতন্ত্র ফেরাতে পথে নেমেছেন তাঁরা। সেই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তৎপর সেনাবাহিনী। এদিন সকাল থেকে ইয়াঙ্গন শহরের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। শূন্যে গুলিও চালায় তাঁরা। এরপরও বিক্ষোভ বাগে আনতে না পারায় এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ দেশের দখল নেয় মায়ানমারের সেনাবাহিনী। ভোটে কারচুপির অভিযোগে বন্দি করা হয় প্রশাসক আং সান সু কি-সহ গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতিনিধিদের। ‘দেশের স্বার্থেই’ এই পদক্ষেপ বলে দাবি করে সেনাবাহিনী। এমনকী, প্রথম সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সেই অর্থে কোনও কড়া পদক্ষেপও করেনি টাটমাদাও। সূত্রের খবর, দেশটির সেনাপ্রধান মিন আং হ্লাইং ও তাঁর সামরিক আধিকারিকরা মনে করেছিলেন, শুরু থেকেই সেনাশাসনে অভ্যস্থ মায়ানমারের জনতা। তাই প্রাথমিক উত্তেজনা ও প্রতিবাদ কেটে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে এর বিপরীতে দাঁড়িয়েছে ঘটনাবলী।