সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনীয় শিশুদের ‘অপহরণ’ করছে রুশ ফৌজ। বুধবার এমনটাই দাবি করেছে রাষ্ট্রসংঘ। ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধের দরুন যে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠল।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে ইউক্রেনের (Ukraine) অধিকৃত এলাকাগুলি থেকে অনাথ ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন শিশুদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। ওই শিশুদের রাশিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তাদের দত্তক নিচ্ছে রুশ পরিবারগুলি। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী মহাসচিব লিজে ব্রান্ডস কেহরিস বলেন, “ইউক্রেনের শিশুদের জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে। এবং এর সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে। এই বিষয়টি খুবই উদ্বেগের।” তিনি আরও বলেন, “অভিভাবকহীন ওই শিশুদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। এর ফলে তাদের দত্তক নিতে পারবে রুশ মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দারা।”
[আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভ করে আমেরিকায় হত্যালীলা কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের, গুলিবৃষ্টি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে]
বুধবার ইউক্রেন নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মুখ খোলেন কেহরিস। তিনি জানান, অধিকৃত এলাকায় ‘সাফাই অভিযান’ শুরু করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। সেখানে সমস্ত ইউক্রেনীয় নাগরিকদের পরিচয় যাচাই করে দেখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনীয়দের আনুগত্য, রাজনৈতিক মত, আত্মীয়দের পরিচয় সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করছে রুশ সেনা। এবং এর জন্য যথেষ্ট বলপ্রয়োগ করতেও পেছপা হচ্ছে না তারা। মানবাধিকার লংঘন করে অনেক ক্ষেত্রে উলঙ্গ করে ইউক্রেনীয়দের তল্লাশি চালাচ্ছে রুশ ফৌজ।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া (Russia)। কিন্তু এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি তারা। লড়াইয়ে কয়েক হাজার সেনা ও বিপুল অস্ত্র খুইয়ে গত এপ্রিলে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্বে ইতি টানার কথা ঘোষণা করে মস্কো। পাশাপাশি, মারিওপোল ও দোনবাস অঞ্চলে অভিযান তীব্র করে তোলে পুতিনের বাহিনী। ইতিমধ্যে মারিওপোল দখল করে ফেলেছে রুশ ফৌজ। দোনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনের শেষ ঘাঁটি সেভেরদোনেৎস্কও দখল করেছে পুতিন বাহিনী।