সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবার রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হল অ্যামনেস্টি। মায়ানমারের আরাকান প্রদেশে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করার জন্য যে সেখানকার সেনাবাহিনী দায়ী তার অনেক প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সোমবার সেসমস্ত প্রমাণের ছবি ও ভিডি-সহ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ওই মানবাধিকার সংগঠন। তারপরই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে মায়ানমারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করেছে তারা।
এপ্রসঙ্গে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের (Amnesty International) ডেপুটি রিজিওনাল ডিরেক্টর ফর ক্যাম্পেনিংস মিং ইউ হা (Ming Yu Nah) বলেন, ‘বর্তমানে আরাকান বিদ্রোহীদের সঙ্গে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না। তা সত্ত্বেও প্রচুর সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আমার মনে অসামারিক লোকজনই এই হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। এর থেকে প্রমাণ হচ্ছে মায়ানমারের সরকার আরাকনের মানুষদের কতটা অবহেলার চোখে দেখছে। এর ফলে সেখানে হিংসার ঘটনা বেড়েই চলেছে।’
[আরও পড়ুন: অ্যালঝাইমার্স আক্রান্ত স্ত্রীর সম্মানে ২৮২টি পাহাড়ে চড়ার চ্যালেঞ্জ নিলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ]
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৪৪ বছরের এক চিনা মহিলা মায়ানমারের সেনাঘাঁটির কাছে বাঁশ সংগ্রহ করতে গিয়ে ল্যান্ডমাইনে বিস্ফোরণে প্রাণ হারান। অন্যদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাখাইন প্রদেশের মাইবোন এলাকায় এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে গুলি করে হত্যা করে মায়ানমারের সেনা। মৃত মহিলার স্বামীর অভিযোগ, আচমকা তাঁর স্ত্রী ও কন্যার উপর গুলি চালাতে শুরু করে সেনাকর্মীরা। ওই এলাকায় কোনও আরাকান বিদ্রোহী না থাকা সত্ত্বেও কাছের সেনাঘাঁটি থেকে আক্রমণ করা হচ্ছিল।