shono
Advertisement

Breaking News

অতিমারীতে সমাজকে নিজের মুখোমুখি দাঁড় করাবে মধ্য কলকাতার এই পুজো

কীভাবে? জেনে নিন।
Posted: 11:15 AM Oct 12, 2020Updated: 11:15 AM Oct 12, 2020

এবছর করোনা আবহেই পুজো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাবগুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি৷ কলকাতার বাছাই করা কিছু সেরা পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন ওয়েলিংটন নাগরিক কল্যাণ সমিতির পুজোর প্রস্তুতি৷

Advertisement

সুলয়া সিংহ: পরস্পরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা কিংবা মুখে মাস্ক চাপানো। নিউ নর্মালে এসবই জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। কারণ সেই মারণ করোনা ভাইরাস। কিন্তু অতীত ঘেঁটে দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, এসবই সুস্বাস্থ্যের জন্য চিরকালীন প্রয়োজনীয় বিষয়। ধুলো, ব্যাকটিরিয়া রোধে যেমন মাস্ক অত্যাবশ্যক, তেমনই নিয়মিত হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কালে কালে সেসবের উপকারিতার কথা কার্যত ভুলেই গিয়েছিল মানুষ। তবে অতিমারী সমাজকে নতুন করে অতীত অভ্যেসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। মানুষকে দাঁড় করিয়েছে আয়নার সামনে। আর সেই ভাবনাই এবার ফুটে উঠবে মধ্য কলকাতার ওয়েলিংটন নাগরিক কল্যাণ সমিতির পুজো মণ্ডপে।

[আরও পড়ুন: উৎসব নয়, করোনা আবহে এবার মানুষের ‘পুজো’ই ব্রত সুরুচি সংঘের]

শিল্পী দীপাঞ্জন দে’র ভাবনায় এবার এই পুজোর থিম ‘দর্পণে দুর্গা’। জীবনের একটা সময় মানুষকে নিজের মুখোমুখি দাঁড়াতেই হয়। দর্পণ এমন একটি বস্তু যেখানে সত্যের প্রতিফলন ঘটে। আর বর্তমান সমাজের কঠিন সত্যটাই এই আরশি ফলকে ফুটিয়ে তুলবেন শিল্পী। সেই জন্য বেছে নিয়েছেন আয়নাকে। যেখানে স্বয়ং মায়ের প্রতিচ্ছবি দেখা যাবে। একইসঙ্গে নিজের মুখোমুখি দাঁড়াবেন আপনিও। শৃঙ্খলবদ্ধ জীবন, ভাল অভ্যেসগুলির প্রয়োজনীয়তা ফের মনে করিয়ে দেবে আপনাকে। শিল্পীর কথায়, “এই অতিমারী নতুন করে শিখিয়ে দিল ব্যস্ত জীবনে নিজেদের হিতের কথাই যেন ভুলে গিয়েছিলাম আমরা। আর এই শিক্ষাকালে আমি অনুভব করেছি মা দুর্গা (Durga Puja) যেন সবসময় সঙ্গে ছিলেন। পথপ্রদর্শক হয়েই সঠিক দিশা দেখিয়েছেন জীবনের। সেই ভাবনাই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।”

থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সাবেকি প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পী। করোনাসুরের দাপটের মাঝে মহিষাসুরমর্দিনী হিসেবেই ধরা দেবেন মা। আর এই গোটা বিষয়ভাবনাটা কবিতার মধ্যে দিয়ে পৌঁছে যাবে দর্শনার্থীদের কানে। তাপস চৌধুরির গলায় এবার এটাই নাগরিক কল্যাণ সমিতির পুজোর আবহ। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা সুস্মিত বরুয়া বলছিলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকলে পুজো উপভোগ করুন। মণ্ডপে এসে নিজের মুখোমুখি হয়ে আরও একবার সতেচনতার পাঠ নিন। তাহলেই সফল হবে আমাদের মিলিত প্রয়াস।”

[আরও পড়ুন: মৃন্ময়ী নয়, সুপারি দিয়েই নদিয়ার পাপিয়ার হাতে রূপ পাচ্ছেন দশভুজা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement