স্টাফ রিপোর্টার: কাউন্টাউন শুরু হয়ে গেল। পিতৃপক্ষের বিদায়লগ্ন সমাগত। রাত পোহালেই কাল দেবীপক্ষের সূচনা। সোমবার মহালয়ার ভোরে সেই আগমনীর মূর্ছনায় মোহিত হতে আমবাঙালি প্রস্তুত। নিত্যদিনের জীবনযন্ত্রণা একপাশে সরিয়ে রেখে এই ক’টা দিনের জন্য আপামরের একটাই প্রার্থনা-তুমি জাগো মা। কাঙালির ঝুপড়ি থেকে বিত্তশালীর অট্টালিকা, দুঃখ-দৈন্য, অবসাদ দূর করে সব ভরিয়ে দাও উৎসবের ছটায়।
[পুজোতেও সিক্যুয়েল, উষ্ণায়ন প্রতিকারে এ মণ্ডপে শিল্পীর ভাবনা সবুজায়ন]
প্রকৃতিও সেজে উঠেছে। হাওয়া অফিস যতই নিম্নচাপের পূর্বাভাস দিক না কেন, এখনও অন্তত তার আঁচ নেই। মহালয়া মানেই আকাশে-বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। শিউলির মাদকতা, নীল আকাশের নিচে চোখ জুড়ানো কাশফুলের হিল্লোল। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর চিরনতুন কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রের মাধুর্যে অবগাহন করে দিন শুরু। দেবীকে স্বাগত জানাতে সত্যিই যেন চতুর্দিকে বাজছে ‘আলোর বেণু।’ ভূকৈলাস থেকে মা দুর্গার মর্ত্যে আগমনের দিনটি আবার পূর্বপুরুষের উদ্দেশে স্মৃতিতর্পণের মহাক্ষণও বটে। গঙ্গার ঘাট থেকে পাড়ার পুকুর- পিতৃপক্ষের অবসানলগ্নে সর্বত্র তর্পণকারীর ভিড় জমবে।
[পুজোয় ঈশান কোণে ঈশানীর আরাধনায় ব্রতী বেলেঘাটা ৩৩ পল্লি]
এবার অবশ্য একটু অন্য রকম। শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী, এ বছর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পূর্বপুরুষদের আত্মাকে জল নিবেদন করা যাবে না। শুভক্ষণ আসতে আসতে বেলা বেশ খানিকটা গড়িয়ে যাবে। পঞ্জিকা অন্তত তেমনটাই বলছে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে, এবার মহালয়ার তর্পণ শুরু হবে সকাল ১১টা বেজে ৩২ মিনিটে। গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, তর্পণের সময় শুরু হচ্ছে সকাল ১০টা বেজে ৪৭ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডে। দেবীর বোধন থেকে আরম্ভ করে অষ্টমীপুজোর অঞ্জলি, কিংবা বিসর্জন-দুই পঞ্জিকায় সব ক্ষেত্রেই সময়ের একটু হেরফের। যদিও বিশেষ ফারাক নেই।
[মায়ার বাঁধন ঘিরে জীবনের একাকিত্ব-শূন্যতার কাহিনি ৯৫ পল্লির পুজোয়]
সব মিলিয়ে ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে’ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যাচ্ছে বাঙালির বচ্ছরকার উদযাপনের পালা।
The post রাত পোহালেই দেবীপক্ষের সূচনা, তর্পণে পিতৃপুরুষদের স্মরণ appeared first on Sangbad Pratidin.
