shono
Advertisement

সঙ্গী ট্রাইসাইকেল, তবু মায়ের কষ্ট কমাতে দোকান চালান বিশ্বজিত্‍

শত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও লড়াই করে মায়ের পাশে বিশ্বজিৎ‍! The post সঙ্গী ট্রাইসাইকেল, তবু মায়ের কষ্ট কমাতে দোকান চালান বিশ্বজিত্‍ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:36 PM Jul 09, 2016Updated: 03:06 PM Jul 09, 2016

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাটোয়া: দু’পা অকেজো৷ হাতও স্বাভাবিকভাবে কাজ করে না৷ তবুও ভোরের আলো ফুটতেই সাইকেল ঠেলে যেতে হয় তাঁকে রুজি রোজগারের টানে৷ কাটোয়ার মূলগ্রামের প্রতিবন্ধী যুবক বিশ্বজিত্‍ কর্মকারের এই জীবনযুদ্ধে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন রাজু মোদক, বাবু শেখ, শিবু মাঝিরা৷ যাঁদের কেউ হকারি করেন, কেউ বা রিকশা চালান৷ পড়শিদের এই মানবিকতায় মুগ্ধ ওই যুবক৷ হয়তো একদিন পাশে দাঁড়াবে সরকারও৷ আশা তাঁর৷

Advertisement

কাটোয়া-২ ব্লকের শ্রীবাটি পঞ্চায়েত এলাকার মূলগ্রামের বাসিন্দা বছর পঁচিশের বিশ্বজিত্‍ কর্মকার৷ বাড়িতে আছেন মা৷ বাবা নারায়ণ কর্মকার বেশ কয়েক বছর আগেই মারা গিয়েছেন৷ দিনমজুর বাবার মৃত্যুর পর সংসারে নেমে আসে তীব্র অভাব৷ এদিকে বিশ্বজিত্‍ ছোট থেকেই পোলিও আক্রান্ত৷ পা দু’টি অকেজো৷ হাত দু’টিতেও তেমন জোর নেই৷ মা শোভা কর্মকার বলেন, “আমি পরিচারিকার কাজ করি৷ আমার কষ্ট দেখে ছেলে ওই শরীর নিয়েই রুজি রোজগারের চেষ্টা করতে থাকে৷ শেষে একটি চায়ের দোকান খোলে৷ এখন যা আয় করে দিনের শেষে আমার হাতে তুলে দেয়৷”

গ্রাম থেকে চাণ্ডুলি বাসস্ট্যান্ড প্রায় দু-আড়াই কিলোমিটার পথ৷ বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের এক কোণে স্টোভ ধরিয়ে চা তৈরি করেন বিশ্বজিৎ৷ সঙ্গী ট্রাইসাইকেল৷ যেটি এক সময় একটি সংস্থা তাঁকে দিয়েছিল৷ ওই সাইকেলে চা তৈরির সরঞ্জাম, বিস্কুটের বয়ামগুলি চাপিয়ে ভোর হতেই চাণ্ডুলি বাসস্ট্যান্ডে চলে আসেন বিশ্বজিৎ৷ আর দোকানের মালপত্র নামানো, দোকান সাজিয়ে দেওয়া এসব নিত্যদিন করে দেন হকার রাজু, রিকশাচালক বাবু শেখরা৷ স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় শ্রমিক শিবু মাঝির কথায় “ছেলেটা কত কষ্ট করে৷ আর আমরা এটুকু করতে পারব না?” প্রতিদিন দুপুরে ছেলের জন্য বাড়ি থেকে পায়ে হেটে খাবার নিয়ে আসেন মা৷ আবার তাঁকে পরের বাড়িতে কাজের জন্য ফিরে যেতে হয়৷

শোভাদেবী বলেন, “আমার ছেলেকে সবাই খুব সাহায্য করে৷ তাই নিশ্চিন্তে থাকি৷” বিশ্বজিত্‍ বলেন, “আমি কিছু রোজগার করি তাই মায়ের কষ্ট কিছুটা কম হয়৷ যদি সরকারিভাবে কিছু সাহায্য পেতাম ভাল লাগত৷” কাটোয়া-২-এর বিডিও শিবাশিস সরকার বলেন, “ওই যুবক আমাদের কাছে সাহায্যের আবেদন করলে সরকারি নিয়মে যেটুকু সম্ভব সাহায্য করা হবে৷” শোভাদেবীর তবু ভরসা, ভাগ্যিস ছেলেটা ছিল৷ শত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও লড়াই করে পাশে দাঁড়িয়েছে মায়ের৷

The post সঙ্গী ট্রাইসাইকেল, তবু মায়ের কষ্ট কমাতে দোকান চালান বিশ্বজিত্‍ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement