সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সংঘ পরিবারকে নিশানা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন। দু’দিন কাটতে না কাটতেই ‘পুরস্কার’ পেলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক (Satya Pal Malik)। তাঁকে মানহানির নোটিস পাঠালেন RSS নেতা রাম মাধব। RSS নেতার অভিযোগ, সত্যপাল মালিক সংঘ এবং তাঁর নামে মিথ্যাচার করেছেন।
আসলে দিন দুই আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে অন্তত গোটা তিনেক বোমা ফাটিয়েছেন সত্যপাল মালিক। এক, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা (Pulwama) হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী কেন্দ্র। সিআরপিএফ (CRPF) সেসময় সেনা জওয়ানদের জন্য হেলিকপ্টার পেয়েছিল, কিন্ত সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেয়নি। এমনকী জওয়ানদের যাত্রাপথের নিরাপত্তাও খতিয়ে দেখা হয়নি। দুই, মোদি দুর্নীতিবাজদের অপছন্দ করেন না। গোয়ার রাজ্যপাল থাকাকালীন দুর্নীতির কথা প্রধানমন্ত্রীকে বললেও, তাতে তিনি কর্ণপাত করেননি। তিন, কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন আম্বানির সংস্থার জীবন বিমা সংক্রান্ত ৩০০ কোটির একটি ফাইল পাশ করানোর জন্য তাঁকে চাপ দিয়েছিলেন এক RSS নেতা।
[আরও পড়ুন: গুলি চালানোর সময় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, আতিকের থেকেও বড় গ্যাংস্টার হতে চেয়েছিল হত্যাকারীরা]
তিন নম্বর এই বক্তব্যটিতে আপত্তি জানিয়ে আরএসএস নেতা রাম মাধব সত্যপাল মালিকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছেন। যদিও, মালিকের অন্য একটি বক্তব্যকে তিনি হাতিয়ার করেছেন। ২০২১ সালে সত্যপাল মালিক বলেছিলেন, আমি কাশ্মীরে যাওয়ার পরে দু’টি ফাইল আমার সামনে আসে। একটিতে আম্বানি ও অন্যটিতে সঙ্ঘের এক বড় অফিসার যুক্ত ছিল। একজন মেহবুবার (Mehbooba Mufti) মন্ত্রিসভার সদস্য। অন্যজন প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আমি জানতে পেরেছিলাম ওই দুই ফাইলেই বড়সড় দুর্নীতি রয়েছে। আমাকে বলা হয়েছিল প্রতিটি ফাইলের ক্লিয়ারেন্সের জন্য আমায় দেড়শো কোটি টাকা করে দেওয়া হবে। আমি দুটোই বাতিল করে দিয়েছিলাম।” সেই আরএসএস আসলে নেতা রাম মাধব বলে সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানান মালিক।
[আরও পড়ুন: ‘উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার মৃত্যু’, আতিক খুনে সরব বিরোধীরা]
তারপরই রাম মাধব আসরে নামেন। তিনি বলেন, “তাঁর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করা হচ্ছে, সব ভুল। অকারণে সংঘ এবং তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” রবিবার কাশ্মীরের (Kashmir) প্রাক্তন রাজ্যপালকে মানহানির নোটিস পাঠিয়েছেন সংঘ নেতা।