সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা নগর দায়রা বা ব্যাংকশাল আদালতের এজলাসে বিচারককে কটূক্তি সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি মুসার। বিচারকের দিকে লক্ষ্য করে জুতোও ছোঁড়ে সে। ‘আমার বিচার করার অধিকার আপনার নেই’, বলেই দাবি করে ওই সন্দেহভাজন জঙ্গি। জুতোর ঘায়ে জখম হয়েছেন এক আইনজীবী। এই ঘটনার পরই আদালত চত্বরের নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে।
২০১৩ সালের অক্টোবরে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের পর থেকেই আইএস জঙ্গি মুসার খোঁজে ছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। অবশেষে ২০১৭-র জুলাইতে সে ধরা পড়ে। প্রথমে সিআইডি-র হেফাজতে থাকলেও, পরে এনআইএ তাকে হেফাজতে নেয়। আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয় তাকে। তবে ওই সংশোধনাগারের থাকাকালীন আধিকারিকের গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছিল মুসা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি না করানো হলে, আধিকারিকের প্রাণসংশয় হত। জানা গিয়েছিল, একটি চামচকে অনেকদিন ধরে সে ধারালো করে তুলেছিল। তা দিয়েই সে আঘাত করেছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আধিকারিককে জখম করার পর মুসাকে স্থানান্তরিত করা হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। গত মাসে প্রেসিডেন্সি জেলের ১/২২ নং সেল অর্থাৎ যেখানে মুসা ছিল, সেই সেলের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক তথা ওয়ার্ডেন অমল কর্মকারকে পাইপ দিয়ে মারধর করে। আধিকারিকের মাথা ফেটে যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এই ঘটনায় হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মুসাকে প্রেসিডেন্সি থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সিতে এখনও জারি ছাত্রবিক্ষোভ, অন্য দরজা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লেন উপাচার্য]
তারই মাঝে মঙ্গলবার সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি মুসাকে মামলার শুনানির জন্য কলকাতা নগর দায়রা বা ব্যাংকশাল আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। মামলার শুনানি শুরু হওয়া মাত্রই এজলাসে চিৎকার করতে শুরু করে মুসা। বিচারককে কটূক্তি করে সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি মুসা। বিচারকের দিকে লক্ষ্য করে জুতোও ছোঁড়ে। ‘আমার বিচার করার অধিকার আপনার নেই’, বলেই দাবি করে ওই সন্দেহভাজন জঙ্গি। জুতোর ঘায়ে জখম হয়েছেন এক আইনজীবী। এই ঘটনার পরই আদালত চত্বরের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে।
The post এজলাসে বিচারককে লক্ষ্য করে জুতো ছুঁড়ল জঙ্গি মুসা, ব্যাংকশাল আদালতে ধুন্ধুমার appeared first on Sangbad Pratidin.