সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স নব্বই পেরিয়েছে। অশক্ত হাত। এখন আর নিজে হাতে অনেক কাজ করে উঠতে পারেন না। কিন্তু তাঁর ছোট্ট পরামর্শই যে অনেক মূল্যবান। কেননা বিগত ৬৯ বছর ধরে প্রসূতিদের চিকিৎসা করে চলেছেন তিনি, তাও বিনামূল্যে।
বিনামূল্যে গ্যাস পেতেও এবার বাধ্যতামূলক আধার
যে সময় চিকিৎসা পরিষেবাও নিছকই একটা ব্যবসা হয়ে উঠেছে, তখন নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম ডঃ ভক্তি যাদব। সেই ১৯৪৮ সাল থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করছেন তিনি। বিশেষত প্রসূতিদের। প্রায় ১০০০-এর উপর মায়ের সন্তানের জন্ম হয়েছে তাঁর হাতেই।কবে যেন নিজের অজান্তেই হয়ে উঠেছেন ‘ডাক্তার দাদি’।
ইনদওরের প্রথম মহিলা এমবিবিএস তিনিই। চিকিৎসক হয়ে অনেকের মতো নিজের ধর্ম ভুলে যাননি। অর্থ উপার্জনকেই জীবনের লক্ষ্য করেননি। বরং হেঁটেছিলেন ছকভাঙা পথে। আজ তাঁর নিঃস্বার্থ সেবা তাঁকে তাই গোটা দেশে উদাহরণস্বরূপ করে তুলেছে। প্রায় ১ লক্ষ মানুষের চিৎকিসা করেছেন বিনামূল্যে। আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের প্রতি তাঁর সহানুভূতি প্রবাদপ্রতীম। তাঁদের চিকিৎসা করার সময় কখনও পয়সার কথা ভাবেননি। ঠিক একই মনোভাব মহিলাদের ক্ষেত্রেও। এ সমাজে সন্তানসম্ভবা নারীমাত্রই নানা অসুবিধার মধ্যে থাকেন। বিশেষত যাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। একজন মহিলা চিকিৎসক হিসেবে সে কথা ভোলেননি ডাঃ ভক্তি যাদব। আর তাই প্রসূতিদের চিকিৎসায় বরাবরই এগিয়ে এসেছেন। চিকিৎসা যে স্রেফ পেশা নয়, একটা ধর্ম প্রতি পদে তা প্রমাণ করেছেন তিনি। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলকে আজ যতটা শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয়, কিংবা মাদার টেরিজাকে, ঠিক একই সম্মান গোটা দেশ তুলে রেখেছে তাঁর জন্যেও। এই কাজের স্বীকৃতিও পেয়েছেন। যদিও তিনি নিজে প্রচারের আলোয় থাকতেই ভালবাসেন বরাবর। এ বছরই পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে তাঁকে। যে নিঃস্বার্থ সেবার আদর্শ তিনি তুলে ধরেছেন, তাতে গোটা দেশ তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক নারীদিবসে।
ছেলে ‘দেশদ্রোহী’, জঙ্গি সইফুল্লাহর লাশ নিতে অস্বীকার বাবার
The post ৬৯ বছর ধরে বিনামূল্যে প্রসূতিদের চিকিৎসা করছেন ইনি appeared first on Sangbad Pratidin.