সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলাদের অন্তর্বাসের ছড়াছড়ি। নানা বয়সের মহিলারাই অন্তর্বাসের ছবি পোস্ট করছেন। যা বর্তমানে নেটদুনিয়ায় চর্চার কেন্দ্রে। ব্যাপারটা কী?
সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে তার খাটো পোশাককে! এমনকী অভিযুক্তের সপক্ষে যুক্তি খাঁড়া করতে গিয়ে আইনজীবী এলিজাবেথ ওকোলেন আদালতকে বলেন, কিশোরির পোশাকই ২৭ বছরের ওই ব্যক্তিকে ধর্ষণের জন্য উসকেছে। এতে অভিযুক্তর কোনও দোষ নেই। আর অবাক করা ব্যাপার হল, অভিযুক্তকে নির্দোষ বলে ঘোষণাও করেছে আদালত। ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে নির্যাতিতা কী পোশাক পরেছিলেন, সে বিষয়টিই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে। আর এরই প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছে আয়ারল্যান্ডবাসী। বুদ্ধিজীবী থেকে সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকেরই বক্তব্য, ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনে কিছু সংশোধন আনা উচিত। কারণ এমন নক্ক্যারজনক ঘটনায় নির্যাতিতার পোশাককে কোনওভাবেই কাঠগড়ায় তোলা চলে না। একজন মহিলা কী ধরনের পোশাক পরবেন, তা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। খাটো পোশাকের অর্থ কাউকে ধর্ষণের জন্য সম্মতি দেওয়া বা উসকানি দেওয়া হতে পারে না।
[শ্রীলঙ্কায় কি ফিরতে চলেছে রক্তাক্ত তামিল বিদ্রোহের দিনগুলি?]
এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা আয়ারল্যান্ড। আদালতের রায়ের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন হাজারো মানুষ। সরগরম সোশ্যাল মিডিয়াও। ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতেই নেটদুনিয়ায় প্যান্টির ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁদের বক্তব্য, পোশাক সম্মতির সমার্থক নয়। তবে এ প্রতিবাদ শুধু সেদেশেই আর সীমাবদ্ধ নেই। দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এ বিষয়ে সুর চড়িয়েছেন। নেটদুনিয়ায় ট্রেন্টিং হয়ে গিয়েছে #ThisIsNotConsent। আদালত যে ধর্ষণ মামলায় পোশাককে এতটা গুরুত্ব দিয়েছে, এমনটা অনেকে বিশ্বাসই করতে পারছেন না। প্রত্যেকের মতে, ধর্ষণের প্রবৃত্তি, মানুষের মানসিকতাই এর জন্য দায়ী। আর শুধু পোশাক কেন, প্রতিবাদীদের মতে, কোনও মহিলা কার সঙ্গে রয়েছেন কিংবা মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন কি না, তাও ধর্ষণের কারণ হতে পারে না।
[সাংবাদিককে ঢুকতে না দেওয়ায় হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সিএনএন-এর মামলা]
The post নেটদুনিয়ায় ভাইরাল মহিলাদের অন্তর্বাসের ছবি, ব্যাপারটা কী? appeared first on Sangbad Pratidin.