সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোট শরিক চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং নীতীশ কুমারের চাপের কাছে অবশেষে নতিস্বীকার করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। কেন্দ্রীয় বাজেটে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বাড়তি অনুদান ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। একই সঙ্গে বিহারের জন্য একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী জানালেন, অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইনের সূত্র মেনে অন্ধ্রের নতুন রাজধানী অমরাবতীর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাড়তি ১৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, আগামী বছরগুলিতে এই ধরনের আরও একাধিক আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্মলা। মূলত অমরাবতীর পুনর্গঠনে খরচ হবে এই টাকা। অন্ধ্রের রয়্যালসীমা অঞ্চল, কার্নল, অনন্তপুর, ওয়াইএসআর এবং চিত্তোর, চার জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেবে মোদি সরকার।
[আরও পড়ুন: খাবার চাইলে শরীর দাও! সেনা নির্যাতনে ‘নরক দর্শন’ সুদানের মহিলাদের]
একই সঙ্গে আরেক জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) দাবিও আংশিকভাবে মানল কেন্দ্র। বিহারের জন্য বাজেটে (Union Budget 2024) একাধিক বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করা হল। বিহারকে সরাসরি আর্থিক প্যাকেজ না দেওয়া হলেও পরিকাঠামো খাতে একাধিক বড় ঘোষণা করা হল। বিহারের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ করতে মোট ২৬ হাজার কোটি বরাদ্দ করল মোদি সরকার। নতুন একগুচ্ছ সড়ক তৈরি হবে। ৩টি হাই রোড তৈরি হবে। বিহারে ২৪০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টেরও ঘোষণা করেছেন নির্মলা। একই সঙ্গে নতুন বিমানবন্দর, মেডিক্যাল কলেজ এবং নতুন স্টেডিয়াম তৈরি হবে। শুধু বিহারের বন্যা নিয়ন্ত্রণে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি গয়ার বিষ্ণুপদ মন্দির করিডর তৈরি হবে কাশী বিশ্বনাথ করিডরের ধাঁচে। বুদ্ধগয়ার উন্নয়নে বাড়তি বরাদ্দ করা হবে। নালন্দাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে তুলে ধরার জন্য প্যাকেজ দেবে মোদি সরকার।
[আরও পড়ুন: JMB জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের পাচারযোগ? আনন্দপুরের ধৃত বাংলাদেশিদের নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা]
লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কার পর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এখন পরনির্ভর। বিজেপির দুই শরিক চন্দ্রবাবু নায়ডু (Chandrababu Naidu) এবং নীতীশ কুমারের মূল দাবিই ছিল অন্ধ্র এবং বিহারের জন্য বিশেষ প্যাকেজ। সেকারণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও বিশেষ দাবিদাওয়া জানাননি শরিকরা। একদিন আগেই বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি খারিজ করে দেয় সরকার। সে নিয়ে শরিকের মুখ ঝামটাও শুনতে হয়েছে। তারপরই বাজেটে দুই শরিকের ঝুলি ভরিয়ে দিলেন নির্মলা।