সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এমনকী সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (JP Nadda) উপর নয়, কর্ণাটকে দলের ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণরূপে প্রদেশ নেতাদের উপরই চাপাচ্ছে বিজেপি। শোনা যাচ্ছে, এই ব্যর্থতার জেরে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে কর্ণাটক প্রদেশ সভাপতি নলীন কুমার কাতিলকে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়তে পারেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই-ও। লোকসভার আগে দলের মুখ হিসাবে আবার ফেরানো হতে পারে ইয়েদুরাপ্পাকে।
২০১৯ থেকে কর্ণাটকের প্রদেশ সভাপতি পদে রয়েছেন নলীন কুমার কাতিল। ২০২২ সালে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কথা ভেবে তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে দলের ভরাডুবির পর কাতিলকে যে আর রাখা হবে না, সেটা একপ্রকার স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “প্রদেশ সভাপতির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা কর্ণাটক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পালটা বিজেপির নারায়ণ ভাণ্ডার! ঘোষণা সুকান্তর]
শোনা যাচ্ছে, এই হারের পর কন্নড় রাজ্যে সংগঠনের খোলনলচে বদলে ফেলতে চলেছে গেরুয়া শিবির। ইয়েদুরাপ্পাকে সাইডলাইন করাটা যে ভুল হয়েছিল, সেটাও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটা অংশ বুঝতে পেরেছে। প্রদেশ সভাপতি কাতিলকে সরিয়ে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট না হলেও তাঁর বিদায় আসন্ন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কর্ণাটকের এই ভরাডুবির দায় শুধু রাজ্য নেতাদের উপর চাপিয়ে কি দায় ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বিজেপির (BJP) হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতারা?
[আরও পড়ুন: এগরা কাণ্ডে আদালতে শুভেন্দু, বাজি ব্যবসায়ীর ভাই বাদে সব গ্রামাবাসীকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস]
অথচ, যে মোদি (Narendra Modi) হাওয়ায় ভর করে গোটা ভারতে এতদিন অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছিল বিজেপি, কর্ণাটকেও ভরসা রাখা হয়েছিল সেই মোদি হাওয়াতেই। ভোটপ্রচারে বার বার কর্ণাটকে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। হিন্দুত্বের প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু অধ্যুষিত কর্ণাটকে মোদি-কণ্ঠে বার বার ধ্বনিত হয়েছে রাষ্ট্রপ্রেম এবং উন্নয়নের কথা। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বারবার উঠে এসেছে বজরংবলির নাম। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে কাজ করেনি ‘মোদি-ম্যাজিক’। ফিকে অমিত শাহও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে যে এলাকায় প্রচার করছেন তাঁর প্রায় ৬০ শতাংশ বিজেপি হেরেছে। আরও খারাপ অবস্থা শাহর। তিনি যেসব কেন্দ্রে প্রচার করেছেন, তাঁর ৭০ শতাংশই হেরেছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আড়াল করার চেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই।