shono
Advertisement

বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন ‘মহাপৃথিবী’! জোড়া গ্রহের কীর্তি দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা

গ্রহগুলিতে কি প্রাণের সম্ভাবনা রয়েছে?
Posted: 04:18 PM Nov 10, 2021Updated: 04:18 PM Nov 10, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রহ্মাণ্ডের কোন কোণে রয়েছে পৃথিবীর দোসর? বহু বছর ধরে খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। আজও উত্তর মেলেনি। তাই অন্বেষণও জারি রয়েছে। আর খুঁজতে খুঁজতেই মিলেছে এমন নক্ষত্রজগতের সন্ধান যেখানে রয়েছে দু’টি ‘সুপার আর্থ’ (Super-Earth) বা মহাপৃথিবী। এই আবিষ্কারে উত্তেজিত গবেষকরা। মনে করা হচ্ছে, আগামিদিনে গ্রহের বিবর্তন ও বৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে দিশারি হতে পারে এই জোড়া গ্রহ।

Advertisement

‘অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে ওই দুই গ্রহটি HD 3167 নামের নক্ষত্রকে যথাক্রমে ১ ও ৩০ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করতে পারে। ওই নক্ষত্রজগতের তৃতীয় গ্রহটি ৮ দিনে এক চক্কর কেটে আসে নক্ষত্রটিকে। গ্রহদের চরিত্রের নানা দিক নিয়ে লাগাতার গবেষণা করে চলেছেন গবেষকরা। এই গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, সাধারণত যে নক্ষত্রের চারপাশে একাধিক গ্রহ ঘুরপাক খায় তাদের মধ্যে নেপচুনের চেয়ে ছোট ও পৃথিবীর চেয়ে বড় গ্রহদের সংখ্যা বেশি। প্রসঙ্গত, সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর চেয়ে বেশি ভরযুক্ত কিন্তু ইউরেনাস ও নেপচুনের চেয়ে হালকা গ্রহগুলিকেই বিজ্ঞানীরা ডাকেন ‘সুপার আর্থ’ বলে।

[আরও পড়ুন: জলবায়ুর পরিবর্তনই ভিলেন! পৃথিবীতে প্রথমবার এই অসুখে আক্রান্ত বৃদ্ধা, নয়া আশঙ্কা]

HD 3167 আবিষ্কৃত হয়েছিল ২০১৬ সালে। সেই সময় দু’টি গ্রহকেই দেখা গিয়েছিল। তাদের নাম দেওয়া হয়েছিল সি ও ডি। বিজ্ঞানীদের নজর এড়ায়নি গ্রহগুলির আবর্তনের অদ্ভুত ভঙ্গি। পৃথিবী কিংবা আমাদের সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহদের মতো নিজের অক্ষে পাক না খেয়ে মেরুকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করছে।

তবে পরবর্তী কয়েক বছরের গবেষণায় আবিষ্কৃত হয়েছে ওই নক্ষত্রজগতের তৃতীয় গ্রহটি। চিলির অতিকায় টেলিস্কোপের সাহায্যেই সেটির খোঁজ পেয়েছেন গবেষকরা। আশ্চর্যের বিষয় হল, এই গ্রহটি কিন্তু সৌরজগতের গ্রহগুলির মতো করেই পাক খাচ্ছে HD 3167-কে। এটির নাম দেওয়া হয়েছে বি।

[আরও পড়ুন: সুদূর ছায়াপথে জলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা, আছে কি প্রাণ?]

কিন্তু পৃথিবীর এই ‘সুপার’ সংস্করণে কি রয়েছে প্রাণের সম্ভাবনা? সে বিষয়ে অবশ্য কোনও আশার আলো দেখছেন না বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে ১৫০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত গ্রহ দু’টিকে পর্যবেক্ষণ করে প্রাণ থাকার কোনও চিহ্ন খুঁজে পাননি তাঁরা। তবে সৌরজগতের বাইরে ছড়িয়ে থাকা ছায়াপথের অসংখ্য অজস্র নক্ষত্রমণ্ডলী ও তাদের সদস্য গ্রহগুলির চরিত্র বুঝতে এই ধরনের আবিষ্কার যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাতে নিঃসন্দেহ বিজ্ঞানীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement