বাবুল হক, মালদা: দেশের মতো রাজ্যেও প্রতিদিন বাড়ছে করোনা (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তা শুরুর প্রথম দিনেই শাটার ভেঙে লক্ষাধিক টাকার দেশি-বিদেশি মদ চুরি হল একটি মদের দোকানে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Maldah) গাজোল থানার মাজরা এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় গাজোল থানার পুলিশ। রাতের অন্ধকারে শাটার ভেঙে চুরি করা হয়েছে লক্ষাধিক টাকার মদ।পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজোল ব্লকের মাঝরা অঞ্চলের হাটের কাছে মদের দোকানটি রয়েছে। ওই দোকানের মালিক অসিত প্রসাদ। রবিবার ফতেরাজপুর এলাকার বাসিন্দা তারাপদ রায় বাজার যাওয়ার পথে সকালবেলা দেখতে পান মদের দোকানটির শাটার ভাঙ্গা। এরপরই দোকান মালিক অসিত প্রসাদকে ফোনে চুরির ঘটনা জানান। তড়িঘড়ি মদের দোকানের মালিক অসিত প্রসাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দেখেন তাঁর মদের দোকান ঘরের শাটার ভাঙ্গা। দ্বিতীয় দরজারও একই অবস্থা। এমনকী সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই গাজোল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিধান রায়কে সমস্ত ঘটনা জানান আশিক। এরপর গাজোল থানায় খবর দিলে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন।
[আরও পড়ুন: ‘বেঁচে থাকলে উৎসব হবে, এখন টুম্পা সোনা চালাবেন না’, নবদম্পতির কাছে আবেদন পুলিশের]
জানা গিয়েছে, অসিতের বাড়ি মালদারই গাজোল শহরে। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত সাতটা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আসেন তিনি। এরপর মাঝরাতের দিকেই ঘটনাটি ঘটে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দোকানের মালিক পরে জানান, তাঁর মদের দোকানে কুড়ি থেকে পঁচিশ লক্ষ টাকার মদ ছিল। যার বেশিরভাগটাই চুরি গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা গাড়ি নিয়ে এসেই এই লুটপাঠ চালিয়েছে, অন্যথায় এত বড় চুরি সম্ভব নয়। তবে গত কয়েকদিন ধরেই ওই এলাকায় নানা চুরির ঘটনা ঘটছিল। ওই মদের দোকানেরই সংলগ্ন নির্মল বর্মন নামে এক ব্যক্তির মুদির দোকানে গত বুধবার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। যারপর আবার এই চুরি। এর ফলে এলাকাবাসী প্রত্যেকেই ভীত সন্ত্রস্ত। এলাকায় লকডাউন শুরু হতেই চুরির এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাতেও ক্ষুব্ধ এলাকার ব্যবসায়ীরা। গাজোল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিধান রায় জানান, বারবার চুরির ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একদিকে লকডাউন অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি হয়ে যাচ্ছে অথচ প্রশাসনের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ব্যবস্থা না নিলে আমরা অন্দোলন করতে বাধ্য হব।