নন্দন দত্ত, সিউড়ি: যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বীরভূমের সিউড়িতে ধুন্ধুমার। পুলিশকে দেহ উদ্ধারে বাধা। উর্দিধারীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের দিকে তেড়ে যায় পুলিশ। তাতেই পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
জানা গিয়েছে, নিহত যুবক তন্ময় দাস (২৭) বীরভূমের সিউড়ির তিন নম্বর ওয়ার্ডের রক্ষাকালীতলার বাসিন্দা। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি বেঙ্গালুরুতে চাকরি করতেন। তবে লকডাউনের সময় চাকরি হারান তন্ময়। তারপর থেকে সিউড়িতেই চলে আসেন। তাঁর বাবা প্রদীপ দাসের দাবি, কলকাতার কেউ একজন লটারি সংক্রান্ত মামলা করেন। সেই মামলার এফআইআরে নাম ছিল না তন্ময়ের। তবে পুলিশের চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল। তার ফলে পুলিশ ক্রমাগত তন্ময়কে চাপ দিচ্ছিল বলেই অভিযোগ। একে চাকরি নেই। তার উপর আবার পুলিশের চাপ। জোড়া ধাক্কায় স্বাভাবিকভাবেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তন্ময়। তার জেরে যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই দাবি পরিবারের।
[আরও পড়ুন: রাত বাড়লেই ফ্ল্যাটে ফুর্তির ফোয়ারা, হৈমন্তীর উদ্দাম জীবনযাপনে অতিষ্ঠ ছিলেন পড়শিরা]
এদিন ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের কথা শুনেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিউড়ি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ এলাকায় পৌঁছে দেখে সিউড়ি-সাঁইথিয়া বাইপাসে অবরোধ করা হয়েছে। পুলিশ অবরোধকারীদের হঠানোর চেষ্টা করে। তাতেই ক্ষুব্ধ হয় অবরোধকারীরা। সিউড়ি থানার পুলিশ হামলার শিকার হয়। পুলিশের গাড়িতে ঢিল ছোঁড়া হয়। কাচ ভেঙে যায়। বাধ্য হয়ে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে ধেয়ে যায় পুলিশ। যুবকের বাড়ির অদূরে সিউড়ি পুরসভার উপ পুরপ্রধান বিদ্যাসাগর সাউয়ের বাড়ি। তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রশমিত করতে আসরে নামেন। তাঁকে লক্ষ্য করেও ঢিল ছোঁড়া হয়। তাতেই বিদ্যাসাগরবাবুর থুতনি ফেটে গিয়েছে। তিনি চিকিৎসা করেছেন। গোটা ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলেই দাবি করেছেন সিউড়ি পুরসভার উপ পুরপ্রধান।