সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়ুষ্মান খুরানার ‘বালা’ ছবির কথা মনে আছে? মাথায় চুল না থাকায় প্রেমিকার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই ইতস্তত বোধ করত বালা। লজ্জা ঢাকতে পরচুলার শরণাপন্ন হয়েছিল সে। এবার সেই ঘটনাই ঘটল বাস্তবের মাটিতে। পাত্রের টাক দেখেই বিয়ে বাতিল করে দিলেন কনে।
বিয়ের মরশুম। মাঝেমধ্যেই অদ্ভুত সব কারণে বিয়ে বাতিলের ঘটনা উঠে আসছে শিরোনামে। কখনও মদ্যপ পাত্রের গলায় মালা দিতে রাজি হননি পাত্রী তো কখনও পণের কারণে ভেঙেছে বিয়ে। এবার তেমন আরও একটি ঘটনা সামনে এল। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উন্নাও শহর। সাত পাকে বাঁধা পড়তে বিয়ের সাজে সেজে উঠেছিলেন কনে। সময় মতো পরচুলা পরে ছাদনাতলায় পৌঁছে গিয়েছিলেন বর। অতিথিরাও ভিড় জমিয়েছিলেন। এমনকী নির্দিষ্টে লগ্নে বিয়ে শুরুও হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: শেষ ৭২ ঘণ্টাতেই লুকিয়ে পল্লবী মৃত্যুর রহস্য? সাগ্নিককে টানা জেরায় উত্তর খুঁজছে পুলিশ]
সমস্ত রীতি মেনেই একে অপরের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করার অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছিলেন বর ও কনে। সেদিনের মতো বিয়ের আচার অনুষ্ঠান শেষও হয়ে যায়। বাকি প্রথা পরের দিন সকালের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ছন্দপতন। মণ্ডপে পা রাখতেই ক্লান্ত বর জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আর তখনই তাঁর পরচুলা খুলে যায়। কনের পরিবারের লোকেরা বুঝতে পারেন, এই বিষয়টি তাঁদের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন পাত্র। এ খবর কনের কানে গিয়েও পৌঁছায়। সঙ্গে সঙ্গে বেঁকে বসেন কনে। আর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি হননি তিনি।
পরিবারের সদস্য পাত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। বিষয়টি গড়ায় থানা পর্যন্ত। তা সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন কনে। সমস্যা মেটাতে পঞ্চায়েত বৈঠক ডাকা হয়। পাত্রীর পরিবার জানান, বিয়েতে তাঁদের সাড়ে ৫ লক্ষেরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে। পাত্রের বাড়ির লোক সেই ক্ষতিপূরণ দিয়ে খালি হাতেই কানপুর ফিরে যায়। পাত্রপক্ষ সত্যিটা লুকানোতেই বিরক্ত কনের পরিবার। শেষমেশ তাঁরাও চাননি মিথ্যের উপর দাঁড়িয়ে কোনও সম্পর্কের সূচনা হোক।