সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নামে কীইবা এসে যায়! এমন কথা অনেকেই বলে থাকেন। তবে নামে যে কত কিছু এসে যায় তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের (UP) দীনেশ। মেয়ে আরতিকে স্কুলে ভরতি করতে গিয়েছিলেন তিনি। জমা দিয়েছিলেন আধার কার্ড। কিন্তু তা দেখেই শিক্ষিকার চক্ষু চড়কগাছে উপক্রম।
এমন আধার কার্ড বোধহয় কোনওদিনই দেখেননি রায়পুরের শিক্ষিকা। সেখানে কোনও আধার নম্বর ছিল না। আর দীনেশের মেয়ে আরতির নামের জায়গায় লেখা ছিল ‘মধু কা পাঁচওয়া বাচ্চা’ অর্থাৎ মধুর পঞ্চম সন্তান। এই আধার কার্ড জমা নেওয়া সম্ভব নয়। তাই দীনেশের মেয়ে আরতিকে স্কুলে ভরতি করা সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দেন শিক্ষিকা একতা ভার্সনে। দীনেশকে কার্ড ঠিক করিয়ে আনার পরামর্শ দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিকেও পুষ্পা রাজ! ‘আপুন লিখেগা নেহি,’ উত্তরপত্রে লিখল পরীক্ষার্থী, হতভম্ব শিক্ষক]
উত্তরপ্রদেশের রায়পুর গ্রামের বিলসি তেহসিল এলাকার বাসিন্দা দীনেশ। সাধ করেই মেয়ে আরতিকে স্কুলে ভরতি করাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আধার কার্ডের (Aadhaar card) গন্ডগোলে তা আপাতত করা হল না। কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটল, তা এখনও বুঝে উঠতে পারছে না তিনি। তবে অদ্ভুত এই কার্ডের ছবি ও খবর ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এই গন্ডগোল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জেলাশাসক দীপা রঞ্জন জানান, ওই এলাকার পোস্ট অফিস এবং ব্যাংকে আধার কার্ড তৈরি হয়। গাফিলতির কারণেই এই বিভ্রাট হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসের কর্তাদের সতর্ক করা হবে। এমন ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা আছে, তা খোঁজার চেষ্টা চলছে। দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন জেলাশাসক। তবে দীনেশ মেয়ের আধার কার্ড ঠিক করাতে সক্ষম হয়েছেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।