সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যা (Ayodhya) – হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির অন্যতম কেন্দ্র। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)বিধানসভা নির্বাচনের বৃত্তটিও রচিত হবে এই আসন ঘিরেই। আরও একবার হিন্দুত্বের হাওয়ায় ভর করে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যকে নিজেদের দখলে রাখাই পাখির চোখ বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেই ফের মসনদে দেখতে চায় দলের একটা বড় অংশ। এবার তাই তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রও বদল হতে চলেছে। সূত্রের খবর, ২০২২এ যোগী গোরক্ষপুরের বদলে অযোধ্যা থেকে প্রার্থী হবেন। আর তাঁর জন্য নিজের কেন্দ্র হেলায় ছেড়ে দিতে রাজি বর্তমান বিধায়ক বেদপ্রকাশ গুপ্তা। তিনি আনন্দের সঙ্গে সে কথা জানিয়েছেন।
রবিবার অযোধ্যার বিধায়ক বেদপ্রকাশ গুপ্তাই এই প্রসঙ্গ উসকে দিয়েছেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”এটা আমাদের অযোধ্যাবাসীর কাছে খুবই গর্বের এবং ভাগ্যের বিষয় হবে যদি মুখ্যমন্ত্রী এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী লড়াই করেন। অযোধ্য তাঁর অন্যতম অগ্রাধিকারের জায়গা। আমরা তাঁর হয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ব। আবার উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। যদিও দলই ঠিক করবে কে কোথায় লড়বেন।”
[আরও পডুন: UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেল তেলেঙ্গানার রামাপ্পা মন্দির, টুইটে উচ্ছ্বাস প্রধানমন্ত্রীর]
তাঁর এই কথাতেই স্পষ্ট, যোগীকে (Yogi Adityanath) এবার অযোধ্যার মতো স্পর্শকাতর জায়গাতেই নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেলতে চান মোদি-শাহরা। যদিও অনেকেই মনে করছেন, অযোধ্যা মোটেই কঠিন নয়, বরং যোগীর মতো হিন্দুত্ববাদের ‘পোস্টার বয়ে’র কাছে অনেক সহজ লড়াইয়ের ক্ষেত্র। আসলে, অযোধ্যা আবেগ তো বিজেপির কাছে খুব বড় এক রাজনৈতিক হাতিয়ার। উনিশের লোকসভা ভোটে রাম মন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইস্তেহারের উপর ভর করে লড়াই করেছেন বিজেপির ছোট, বড় নেতারা। সামনে ২০২২এর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন। আবার ২০২৪এ লোকসভা। সবকটিতেই ইস্যু অযোধ্যা, রাম মন্দির। তাই এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের কথা ভাবা হচ্ছে। গোরক্ষনাথ মন্দিরের মহান্ত -এই পরিচয়ের ঊর্ধ্বে পরবর্তী জীবনেও যাঁর ইমেজের সঙ্গে অনেকটাই খাপ খায় অযোধ্যার পরিবেশ।
[আরও পডুন: ‘করোনাকে ভয় পাই না’, নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে হরিদ্বারে ঢল নামল Kanwar যাত্রীদের]
বিষয়টি নিয়ে বেদপ্রকাশ গুপ্তার বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যের বিরোধী শিবিরে তুমুল আলোচনা, গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র সুরেন্দ্র রাজপুত বলছেন, ”যাঁরা চাইছেন, যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্য কেন্দ্রে লড়াই করুন, তাঁরা আগে বলুন তো উনি গত চার বছরে নিজের কেন্দ্রে কী কী কাজ করেছেন।ক’জনকে চাকরি দিয়েছেন? ক’টা গ্রামে পানীয় জল পৌঁছেছেন? কোভিডে ক’জনের মৃত্যু হয়েছে?” সমাজবাদী পার্টির তরফে মুখপাত্র জুহি সিংয়ের প্রতিক্রিয়া, ”২০১৭ থেকে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার ক্রমশ অবনতি দেখছি আমরা। বেকারত্ব, পুলিশের সন্ত্রাস বাড়ছে। কৃষকদের উপর অন্যায় অত্যাচার বেড়েছে। এসব কিছু জবাব দিতে হবে যোগী আদিত্যনাথকে।”