সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানোয়ার যাত্রার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হলেও দমবার পাত্র নন যোগী আদিত্যনাথ। শুধু মুজফফরপুর নয়, যে যে জায়গা দিয়ে কানোয়ার যাত্রা যাবে এবার সব রুটেই খাবারের দোকানগুলিতে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম। নাম নিয়ে বিতর্কের মাঝেই শুক্রবার নয়া নির্দেশিকা জারি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এমন নির্দেশিকায় স্বাভাবিকভাবেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
আগামী ২২ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কানোয়ার যাত্রা। হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে যোগীরাজ্যে। এরই মাঝে উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে বিতর্ক ঘনায় পুলিশের এক নির্দেশ ঘিরে। যেখানে বলা হয়, যাত্রাপথে যত খাবারের দোকান, ধাবা, রেস্তরাঁ রয়েছে তাদের মালিকের নাম দোকানের সামনে লিখে দিতে হবে। এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব-সহ দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এমন পদক্ষেপের পর যোগীরাজ্যকে নাৎসি জার্মানির সঙ্গে তুলনা করেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব জাভেদ আখতার। তবে একেবারেই দমবার পাত্র নন যোগী। বিতর্কের মাঝে মুজফফরনগরের পুলিশ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার পরই, শুক্রবার যোগী সরকারের তরফে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যেখানে বলা হয়, রাজ্যের যে যে জায়গা দিয়ে কানোয়ার যাত্রা যাবে প্রতিটি জায়গায় যত খাবারের দোকান, ধাবা, রেস্তরাঁ রয়েছে সবকটি দোকানের সামনে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম।
[আরও পড়ুন: তদন্তে লাগবে আগাম অনুমতি, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশেও CBI-এর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন!]
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এবার কানোয়ার যাত্রার জন্য ৩টি রুট ব্যবহার করা হচ্ছে যেগুলি হল, মেরঠ, সহারনপুর এবং মুজফফরনগর। এই যাত্রাপথে যতগুলি খাবারের দোকান পড়বে সব জায়গায় এই নিয়ম লাগু থাকবে। এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী কপিলদেব আগরওয়াল বলেছিলেন, শ্রাবণের এই পবিত্র মাসে, বহু মানুষ, বিশেষ করে কানোয়ারিরা নির্দিষ্ট ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকেন। অথচ মুসলিমরা হিন্দু নাম ব্যবহার করে আমিষ খাবার বিক্রি করছে পুণ্যার্থীদের। তিনি বলেন, দোকানের সামনে লেখা হচ্ছে বিষ্ণু ধাবা সেন্টার, সকুম্বরি দেবী ভোজনালয়, শুদ্ধ ভোজনালয়, অথচ সেখানে বিক্রি হচ্ছে আমিষ খাবার এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ, অব্যাহত রক্তক্ষরণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২!]
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে সারা দেশের হাজার হাজার ভক্ত কানোয়ার যাত্রায় যান। হরিদ্বার, গোমুখ, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাজল নেওয়াই কানোয়ার যাত্রার উদ্দেশ্য। এরপর সেই জল ভগবান শিবের মাথায় ঢালা হয়। আটের দশকে কানোয়ার যাত্রা বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। তার আগে অল্প সংখ্যক মানুষ এবং সন্ন্যাসী এই যাত্রায় যেতেন। কিন্তু আটের দশকের পর থেকে সারা ভারত থেকে শিবভক্তরা গঙ্গা জল সংগ্রহের জন্য প্রতি বছর এই যাত্রা করে থাকেন।