সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গ্যাংস্টার’ ও সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) পাঁচবারের বিধায়ক ও ফুলপুরের প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের (Atiq Ahamed) শ্যালক আখলাক আহমেদ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আগেই। এবার তাঁকে চাকরি থেকেই বরখাস্ত করা হল। তিনি মীরাটের এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আতিক-ঘনিষ্ঠ মুসলিম গুড্ডুকে আশ্রয় দেওয়ার। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পুলিশের চোখের সামনে আততায়ীদের হাতে খুন হয়েছেন আতিক।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে প্রয়াগরাজে আইনজীবী উমেশ পাল ও দুই পুলিশকর্মীর খুনের পর মুসলিম গুড্ডু আখলাকের বাড়িতে প্রবেশ করছেন। তিন সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আখলাক। এবার চাকরিও খোয়ালেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ”আখলাক অনৈতিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত। যা সরকারি কর্মীর জন্য নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন। কোনও চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীর এহেন আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।”
[আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জে তক্তার নিচে লুকিয়ে পুলিশ, টেনে বের করে বেধড়ক মারল উন্মত্ত জনতা, ভাইরাল ভিডিও]
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল রাতে প্রয়াগরাজ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার সময়ই আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফ আহমেদের (Ashraf Ahamed) উপর হামলা চলে। তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। আতিকের মাথায় গুলি লাগে। লুটিয়ে পড়েন আতিক। তার পর তাঁকে ও আশরাফকে ঘিরে ধরে গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। এ-সব কিছুই চলে পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই। ঘটনাস্থলেই দু’ভাইয়ের মৃত্যু হয়। পুলিশ তিন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেছে। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত বন্দুকটিও। এর কয়েকদিন আগেই ইনকাউন্টারে মারা যায় আতিকের ছেলে আসাদ।