সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট কেনাবেচা থেকে শুরু করে পেশিশক্তির ব্যবহার। নির্বাচনে জনমত নিজের দিকে টানতে কোনও কিছুতেই অনীহা নেই রাজনীতিবিদদের। এই অভিযোগ নতুন নয়। তবে এবার নিজেই কৃতকর্মের কথা একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ওমপ্রকাশ রাজভর।
[দিল্লির পর এবার উত্তরপ্রদেশ, ভণ্ড বাবার আশ্রম থেকে উদ্ধার বহু মহিলা]
‘মদ ও মাংসের লোভে ভোট বিক্রি করে গরিব মানুষ।’ রবিবার, বলরামপুরের একটি জনসভায় এমনই মন্তব্য করেন যোগী সরকারের মন্ত্রী রাজভর। তাঁর বক্তব্য, “বাটি-চোখা কাচ্চা ভোট, দারু-মুর্গা পাক্কা ভোট। আলুভাতে দিলে কেউ ভোট দেবে না। মদ ও মাংস দিলেই গরিব জনতার ভোট পাওয়া যায়। তাই খেয়ে সাধারণ জনতা ভোট দেয় এবং পাঁচ বছরের জন্য তাদের মূর্খ বানায় নেতারা।” রাজনীতিবিদদের একাংশের স্বরূপ খুলে দিয়ে ওই মন্ত্রী আরও দাবি করেন, নেতারা জনসাধারণকে বোকা বানিয়ে লখনউ-দিল্লি ঘুরে বেড়ান। উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানের পথে না গিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে গরিব মানুষের ভোট আদায় করে নেন তাঁরা।
উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। একের পর এক সরকারি দপ্তরে ঝটিকা সফরও শুরু করেছিলেন তিনি। তবে তাঁর ক্যাবিনেটের মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। রাজনীতিবিদদের একাংশের অভিযোগ, তাঁর এহেন মন্তব্য গেরুয়া শিবিরের মুখোশ খুলে দিয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে যোগী সরকারের শরিক ওমপ্রকাশ রাজভরের দল ‘সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি’। অভিযোগ বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় জড়িত রাজভর-সহ ওই দলের একাধিক নেতা। তবে বিজেপি-র শরিক দল হওয়ায় তদন্ত বেশি দূর এগোয়নি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে একটি পাঁচ বছরের শিশুকে পিষে দেয় মন্ত্রী ওমপ্রকাশ রাজভরের কনভয়। গোন্ডা জেলার ওই ঘটনায় দেশজুড়ে বয়ে যায় প্রবল সমালোচনার ঝড়। তারপরই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেন যোগী। তবে আগাগোড়াই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন রাজভর। ওই ঘটনার পর ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। তবে এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিজেপি।
[বেসামাল হলেই বিপদ, বড়দিনে কলকাতা জুড়ে সক্রিয় লালবাজারের ‘ক্যামেরা চোখ’]
The post মদ-মাংসের ‘টোপে’ ভোট দেয় গরিব মানুষ, বিতর্কিত মন্তব্য মন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.