সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশাল মিডিয়ার দৌলতে এখন বন্ধু পরিসরও বিস্তৃত। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভর্তি হয়ে থাকে ভারচুয়াল দুনিয়ার ফলোয়ার কিংবা বন্ধু তালিকা। কিন্তু তাদের মধ্যে কতজন প্রকৃত বন্ধু, এটাই হল লাখ টাকা সওয়াল। এক ইনস্টাগ্রাম বন্ধুর যে কুকীর্তির কথা শিরোনামে উঠে এসেছে, তাতে এ প্রশ্ন আরও জোরালো হল। নাবালিকাকে অপহরণ করে, মাসের পর মাস ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ওই ভারচুয়াল বন্ধুর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, নাবালিকাকে ইসলাম নিতেও বাধ্য করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনা যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশের। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে ১৪ বছরের কিশোরীর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে আলাপ হয়েছিল অভিযুক্তর। গত অক্টোবরে কিশোরীকে বাড়ি ছেড়ে দিতে উসকানি দিয়েছিল সে। নির্যাতিতা আরও জানায়, তার মন পেতে ওই ‘বন্ধু’ বাংলো, গাড়ির ছবি পাঠাত। সেই ফাঁদে পা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালায় কিশোরী। কিন্তু গিয়ে দেখে আসলে ওই ইনস্টাগ্রাম বন্ধু এক বয়স্ক ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: ‘বাহুবলী’র কাছে মেয়েদের চোখের জল মূল্যহীন! ভিনেশ পুরস্কার ফেরাতেই মোদিকে তোপ রাহুলের]
এরপরই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মাসের পর মাস তাকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাকে ধর্মান্তকরণের চেষ্টাও করে ওই বয়স্ক ব্যক্তি। তাকে আমিষ খেতে এবং নমাজ পড়তে বাধ্য করা হয়। এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্ত কিশোরীকে জোর করে বিয়ে করার চেষ্টাও করে। ৩০ ডিসেম্বর তাকে টেনে হিঁচড়ে মসজিদ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার নাম বদলে মুসকান খান রাখা হয়।
যদিও শেষমেশ একদল হিন্দু গোটা বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। ঘটনায় পকসো আইনে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দানিশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।