সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) নিয়ে অহোরাত্র দ্বন্দ্বের মাঝেই আমেরিকাকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়া (Russia)। তাতেও যোগ দিতে রাজিও হয়েছে ওয়াশিংটন। আগামী সপ্তাহের শেষদিকে ইউরোপে বৈঠকে বসছে মস্কো-ওয়াশিংটন। তবে সূত্রের খবর, কিয়েভের উপর হামলা বা যুদ্ধ নয় – এই কড়া বার্তা নিয়েই বৈঠকে হাজির হচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। মার্কিন (US) বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘে নিজেদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন। আমেরিকা মনে করে, এই সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে একমাত্র সমাধান আলোচনা।
[আরও পড়ুন: আহমেদাবাদ বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল বিশেষ আদালত]
মার্কিন বিদেশ দপ্তর সূত্রে খবর, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আগামী সপ্তাহে ইউরোপে আলোচনার টেবিলে বসবেন। তবে ইউক্রেন নিয়ে কড়া অবস্থানে অনড় থাকবে আমেরিকা, এমনই জানিয়ে দিয়েছে। বস্তুত, এই শর্তেই আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ওয়াশিংটন সূত্রে খবর, এরপরও যদি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা (Invasion) চালায়, তাহলে বুঝতে হবে তারা কখনওই কূটনৈতিক বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেয়নি। ফলে অন্য পথে হাঁটতে পারে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে সংশয় আছে বলেই এদিন মার্কিন সংসদে একটি খসড়া প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়া হামলা চালালে ইউক্রেনের পাশেই থাকবে আমেরিকা। ইতিমধ্যে এক মার্কিন কূটনীতিককে ক্রেমলিন বরখাস্ত করায় রাশিয়ার প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)।
এদিকে, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ইউক্রেনের কয়েকটি ছবি দেখে যুদ্ধের আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ছবিতে দেখা গিয়েছে, একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সামনে শেল ফাটানো হয়েছে। তাতে স্কুলটি পুরোপুরি ধসে গিয়েছে। ওইদিন সকাল থেকে কিয়েভের সেনাবাহিনীর সঙ্গে রুশ সেনার সংঘর্ষের খবর মিলেছিল। সেসব ভয়াবহ ছবি দেখেই পশ্চিমী দেশগুলোর আশঙ্কা, মুহূর্তের মধ্যেই পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে। আর সেই কারণেই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে G20 ভারচুয়াল সম্মেলন। আলোচনার মূল বিষয় অবশ্যই ইউক্রেন। রুশ বিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট করার প্রক্রিয়া চলতে পারে এই সম্মেলনে।