shono
Advertisement

হাসিনার প্রকল্পে স্বীকৃতি, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে এল আমেরিকা ও কানাডা

সমুদ্রের মাঝে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে শরণার্থীদের পাঠানোর বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল দুই দেশ।
Posted: 04:37 PM Aug 05, 2022Updated: 04:42 PM Aug 05, 2022

সুকুমার সরকার, ঢাকা: এবার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের সাহায্যে এগিয়ে এল আমেরিকা ও কানাডা। সমুদ্রের মাঝে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে শরণার্থীদের পাঠানোর বিষয়ে শুরুতে আপত্তি জানালেও অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রকল্পকে স্বীকৃতি দিল দুই দেশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, নোয়াখালির ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারের গড়ে তোলা আশ্রয়ন প্রকল্পে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা ও কানাডা। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই বিষয়ে অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা এটা জানাতে পেরে খুশি যে, আমেরিকা আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছে, এখন থেকে ভাসানচরে তারা সহায়তা দেবে। কানাডা জানিয়েছে, তারাও ভাসানচর প্রকল্পে সহযোগিতা করবে।”

[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মঞ্চের আপত্তি উড়িয়ে ১১০০ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠাল বাংলাদেশ]

ভাসানচর প্রকল্পে যুক্ত হওয়ায় আমেরিকা ও কানাডাকে ধন্যবাদ জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, “ভাসানচরে রাষ্ট্রসংঘের, বিশেষ করে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) যে কার্যক্রম, যেটা শুরু হয়নি। বাংলাদেশের ওপর একভাবে চাপ পড়ছিল ভাসানচরের জন্য। সেটা অনেকংশে লাঘব হবে এই নতুন সহযোগিতা নিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে। মায়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে রয়েছে। ২০১৭ সালে তার সঙ্গে যোগ হয় আরও সাত লক্ষ রোহিঙ্গা। এখন তাদের সংখ্যা ১২ লক্ষেরও বেশি।”

এই উদ্যোগের শুরুতে রোহিঙ্গাদের (Rohingya) কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের নেতিবাচক বিষয় তুলে ধরে বিরোধিতা করলেও সেই অবস্থান বদলে সম্প্রতি ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য কাজ শুরু করতে সম্মত হয় রাষ্ট্রসংঘ। এ বিষয়ে গত অক্টোবরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে ইউএনএইচসিআর। এরপর চলতি বছরের শুরুতে রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে (জেআরপি) ভাসানচরকে যুক্ত করা হয়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সবচেয়ে বড় দাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন দেশ এতদিন দূরেই ছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছ’টি জেআরপির অধীনে মোট অনুদান এসেছে ৩২২ কোটি ১১ লক্ষ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য সব মিলিয়ে ১৭০ কোটি ডলার দিয়েছে, যা একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালের জেআরপির অধীনে আসা ৬৭ কোটি ৮৬ লক্ষ ডলারের মধ্যে ২৯ কোটি ৮১ লক্ষ ডলারই যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া। যা মোট অঙ্কের প্রায় ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে, গত বছর জেআরপির অধীনে রোহিঙ্গাদের জন্য ১ কোটি ৭১ লক্ষ ডলার দিয়েছে কানাডা। ২০২০ সালে দেশটি দিয়েছিল ১ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রাশিয়াকে নাস্তানাবুদ করেছে ‘বায়রাক্তার’, এবার তুরস্কের এই ঘাতক অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement