সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সান ফ্রান্সিসকোর (San Francisco) ভারতীয় দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ বলে আখ্যা দিলেন মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা। ভারতীয় (India) কূটনীতিকদের যেভাবে অপমানজনক কথা বলা হয়েছে, তাকেও বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার বলেই মনে করছে মার্কিন রাজনৈতিক মহল। গত ২ জুলাই সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় কনসুলেটে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে এনআইএ (NIA)। তার প্রেক্ষিতেই এবার সরব মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা।
ভারতীয় কনসুলেটে আগুন লাগানোর ভিডিও শেয়ার করা হয় খলিস্তানিদের টুইটার হ্যান্ডেল থেকেই। সেখানেই ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধুকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা হয়। তরণজিতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক পোস্টে ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। কানাডায় নিহত খলিস্তানি নেতার মৃত্যুর নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে বলেই দাবি করা হয় একাধিক পোস্টারে। সমস্ত বিষয় নিয়েই মুখ খুলেছেন মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার যৌথভাবে বিবৃতি জারি করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের (US Congress) সদস্য রো খান্না ও মাইকেল ওয়ালটজ।
[আরও পড়ুন: সুনীলের জন্য সই করা জার্সি রেখে ভারতকে বিদায় জানালেন মার্টিনেজ]
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমেরিকায় প্রত্যেকেরই বাকস্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু সেই অধিকারের বলে সম্পত্তি নষ্ট করা বা হিংসা ছড়ানোর লাইসেন্স মেলে না। কূটনীতিকদের নিশানা হামলা চালানো আসলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এহেন আচরণ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। বিদেশ দপ্তরের কাছে অনুরোধ রইল, তাঁরা যেন ভারতীয় কনসুলেটে হামলার যথাযথ তদন্ত করেন। দোষীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।” তবে ভারতীয় কনসুলেটে হামলার অভিযোগে এখনও কাউকে আটক করেনি মার্কিন প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসেই এই কনসুলেটে হামলা চালিয়েছিল খলিস্তানিরা। মাত্র পাঁচ মাস পরেই ফের হামলায় প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে। তদন্তভার হাতে নিয়েই এনআইএ জানিয়েছে, দুই হামলার ঘটনা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তাই বাড়তি সতর্কতা নিতে পরামর্শ দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই আমেরিকা পৌঁছেছে এনআইএর বিশেষ দল। তবে ভারতীয়দের নিরাপত্তা বারবার কেন ব্যাহত হচ্ছে, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।