সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে ‘ভোটসন্ত্রাসে’র অভিযোগে সরব আমেরিকা। হাসিনা সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে আগামী অক্টোবর মাসেই ঢাকায় আসছে মার্কিন পর্যবেক্ষক দল।
চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছে বিএনপি-সহ দেশটির বিরোধী দলগুলি। এহেন বিতর্কের মাঝেই অক্টোবর মাসে প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর কথা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার ঢাকায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশন- সিইসির সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক শেষে একথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
[আরও পড়ুন: মোবাইলে কথা চালকের, যাত্রীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি, বাংলাদেশের বাস দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য]
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “আমি সিইসিকে জানিয়েছি, অক্টোবরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে। সেখানে থাকবেন- ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিক ইন্সটিটিউটের বিশেষজ্ঞরা। যাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তুতি নিয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে।” মার্কিন রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। তবে বিএনপি তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনঢ় রয়েছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ অন্য দেশ সরকার বা তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এনিয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই ভোটসন্ত্রাস নিয়ে সরব হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। ইতিমধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন কংগ্রেসম্যান। কয়েকদিন আগেই এই মর্মে রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তাঁরা চিঠি পাঠিয়েছেন। কংগ্রেস সদস্য বব গুড টুইটারে এ তথ্য জানান। টুইটারে গুড় লেখেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর বাংলাদেশ সরকারের পরিচালিত সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে আমি এবং আরও ১৩ কংগ্রেস সদস্য রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি পাঠিয়েছি।’