shono
Advertisement

রাশিয়ার থেকে ভারত এস-৪০০ মিসাইল কেনায় অখুশি আমেরিকা, দাবি মার্কিন কূটনীতিকের

আমেরিকা কি ভারতের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে?
Posted: 05:17 PM Jan 13, 2022Updated: 05:41 PM Jan 13, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের আকাশকে অভেদ্য করে তুলতে অত্যাধুনিক এস-৪০০ (S-400) মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত। ভূমি থেকে বায়ুতে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৪০০কে রাশিয়ার সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বলে মনে করা হয়। প্রথম থেকেই এই চুক্তিকে ভাল চোখে দেখেনি আমেরিকা (US)। ভারতের কাছে ওয়াশিংটনের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে এই ধরনের সিদ্ধান্ত না নেওয়াই উচিত। সেই সঙ্গে এই আশঙ্কাও রয়েছে, যে আমেরিকা হয়তো ভারতের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেও পারে। তবে এব্যাপারে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে বাইডেন প্রশাসন। এমনই দাবি করলেন নিষেধাজ্ঞা নীতির কো-অর্ডিনেটর হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা বাইডেনের প্রতিনিধি জেমস ও’ব্রায়েন।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ কেনার চুক্তি করে চিন। তারপরই প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পড়শিদের বাগে আনতে প্রয়োজন এস-৪০০। পাকিস্তানের কাছে প্রায় ২০ স্কোয়াড্রন মার্কিন এফ-১৬ বিমান রয়েছে।চিনের থেকেও বিপদের আশঙ্কা দিন-দিন বাড়ছে। ফলে দেশের সুরক্ষায় এই হাতিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবদিক বিবেচনা করে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ৫টি এস-৪০০ কেনার চুক্তি হয় রাশিয়ার সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দেন এর ফলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে ভারতকে।

[আরও পড়ুন: মোদি সরকারের সঙ্গে কাজ করা চ্যালেঞ্জিং, ভারতে টেসলা না আসা নিয়ে বিস্ফোরক এলন মাস্ক!]

মসনদ বদলেছে আমেরিকায়। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরে এখনও এই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেননি। কিন্তু আশঙ্কা রয়েছে আমেরিকার CAATSA আইনে নিষেধাজ্ঞা করা নিয়ে। ২০১৭ সালে প্রণীত এই আইন প্রয়োগ করে এরই মধ্যে তুরস্কের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা।

যদিও তুরস্কের পরিস্থিতি আলাদা ছিল বলেই জানাচ্ছেন জেমস। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘মার্কিন প্রশাসন কিন্তু ভারতকে আগেই বারণ করেছিল রাশিয়ার থেকে অস্ত্র না কেনার বিষয়ে।’’ সেই সঙ্গে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের দিকটিও যে নজরে রাখা হবে তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি। তবে এখনই এবিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তের কথা বলতে নারাজ তিনি। তবে তাঁর কথা থেকে পরিষ্কার, আপাতত জল মাপার দিকেই নজর রয়েছে বাইডেন প্রশাসনের।

[আরও পড়ুন: কোভিড চিকিৎসায় নতুন দুই ওষুধের সুপারিশ WHO-এর, জেনে নিন খুঁটিনাটি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement