সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হবে সমস্ত মার্কিন সেনা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়া। কিন্তু মার্কিন (US) গোয়েন্দারা সতর্ক করে জানাচ্ছেন, সেনা সরে যাওয়ার মাস ছয়েকের মধ্যেই কাবুল (Kabul) চলে যাবে তালিবানদের (Taliban) দখলে। ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ বুধবার এমনটাই জানিয়েছে।
শুক্রবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও শীর্ষস্থানীয় দুই আফগান নেতা আশরফ গনি ও আবদুল্লা আবদুল্লার বৈঠক হওয়ার কথা। তার ঠিক আগেই সামনে এল এমন সতর্কবার্তা। ১ মে থেকেই আফগানিস্তানে পুরনো তৎপরতায় ফিরতে শুরু করেছে তালিবানরা। এর মধ্যেই দেশের বহু অঞ্চল চলে গিয়েছে তাদের দখলে। ওই সময় থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছে আমেরিকা। সেনা সরতে শুরু করতেই তালিবানরা যে মূর্তি ধারণ করেছে, তা থেকে কাবুল দখল করার আশঙ্কা ক্রমেই জোরদার হতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা ম্যাকাফি অ্যান্টিভাইরাসের স্রষ্টা জন ম্যাকাফির, চাঞ্চল্য স্পেনে]
আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের অন্যতম রূপকার ভারত। গত সোমবারই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের তরফে আফগানিস্তানে বাড়তে থাকা হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবং সংঘর্ষ বিরতির ব্যাপারে দায়িত্ব নেওয়ার আরজিও জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে।
‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আগে মনে করা হচ্ছিল হয়তো গনির সরকার বছর দুয়েক টিকবে মার্কিন সেনা সরে যাওয়ার পরে। কিন্তু এখন আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, হয়তো ৬ মাসের মধ্যেই কাবুল চলে যাবে তালিবানের দখলে। এমনকী তিন মাসের মধ্যেই গদিচ্যুত হতে পারেন গনি।
[আরও পড়ুন: PNB Scam: লন্ডন হাই কোর্টে খারিজ নীরব মোদির আবেদন, আরও প্রশস্ত দেশে ফেরানোর পথ]
উল্লেখ্য, এর আগে গত মার্চ মাসেই বাইডেন প্রশাসনকে এব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। কিন্তু তবুও মে মাসের ১ তারিখ থেকে যুদ্ধজর্জর দেশটিতে থাকা ২ হাজার ৫০০ সৈনিক ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমেরিকা। ফলে ন্যাটো গোষ্ঠীর অন্য সদস্য দেশগুলিও নিজেদের সৈনিকদের ফিরিয়ে আনছে। এদিকে, আমেরিকা ও কাবুলের গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে আলোচনার ‘নাটক’ করলেও শরীয়ত আইন প্রতিষ্ঠা করাই যে তাদের উদ্দেশ্য তা বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। এবার ফের এব্যাপারে সতর্ক করল মার্কিন গোয়েন্দারা।