সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী শুক্রবার ফের ইজরায়েলে যাচ্ছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken)। তার আগে মঙ্গলবার তাঁকে বলতে শোনা গেল, যদি গাজা ভূখণ্ডে হামাসের নিয়ন্ত্রণ খর্ব করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে ‘বিভিন্ন সম্ভাব্য সমন্বয়ে’র মাধ্যমে আমেরিকা ও অন্যান্য দেশগুলি ওই অঞ্চলের দায়িত্ব নিতে পারে।
কেন এমন কথা ব্লিঙ্কেনের মুখে? এক মার্কিন কমিটির সামনে এই বিষয়ে কথা বলছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাঁকে বলতে শোনা যায়, হামাস (Hamas) গাজা ভূখণ্ডে তাদের নিয়ন্ত্রণ আর রাখতে পারবে না। অন্যদিকে ইজরায়েলও (Israel) গাজার (Gaza) নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখতে চায় না। ব্লিঙ্কেনের মতে ‘কার্যকর এবং পুনরুজ্জীবিত প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষে’র হাতেই দায়িত্বভার থাকার কথা। কিন্তু তাও সম্ভবপর হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘এক রাতেই সব পালটে যায়…’, সুশান্তের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন অঙ্কিতা]
এর পরই মার্কিন বিদেশ সচিবকে বলতে শোনা যায়, ”যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্যান্য অস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে হবে। সেক্ষেত্রে ওই অঞ্চলে বিভিন্ন দেশকে যুক্ত করা দরকার পড়বে। আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলির সাহায্যে ওখানকার নিরাপত্তা ও প্রশাসন সামলানো যেতে পারে।”
এদিকে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় বার ইজরায়েল যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন। আগামী শুক্রবারই তাঁর তেল আভিভ যাওয়ার কথা। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষের দিকে চোখ রয়েছে সারা বিশ্বের।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের আগে ওয়েস্ট ব্যাংক ও গাজা ভূখণ্ড ছিল মামুদ আব্বাসের ‘প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষে’র হাতে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে হামাসের দখলে চলে গিয়েছিল গাজা। এবার যদি হামাসের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয় গাজা, তাহলে কি প্রত্যাবর্তন ঘটবে মামুদের? কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তায় এমনিতেই ভাটা। এর মধ্যে ইজরায়েলের মদতপুষ্ট হয়ে তিনি গাজার শাসনভার পেলে তা টিকিয়ে রাখা মুশকিল হতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। এই পরিস্থিতিতে গাজার ভবিষ্যৎ যে অন্ধকারেই, তেমনই মনে করা হচ্ছে।