সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে দু’বছর হয়ে গেল পৃথিবী অতিমারীর (Pandemic) কবলে। কখনও সংক্রমণ বেড়েছে, কখনও কমেছে। কিন্তু সব সময়ই পথে ঘাটে করোনা (Coronavirus) বিধি মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যার অন্যতম হল মাস্ক পরা। কিন্তু মুখ ঢেকে প্লেনে ওঠা সত্ত্বেও নামিয়ে দেওয়া এক যাত্রীকে! কেন? আসলে তিনি তাঁর মুখ ঢাকলেও, মাস্ক পরেননি। তাঁর মুখকে আড়াল করে রেখেছিল টকটকে লাল রঙের থং!
এমনই আজব এক যাত্রীর দেখা মিলেছে আমেরিকায়। ফ্লোরিডার বাসিন্দা তিনি। অ্যাডাম জেন নামের বছর ৩৮-এর ওই ব্যক্তি দিব্যি বিমানে উঠে পড়েছিলেন থং পরেই। কিন্তু কেন অন্তর্বাস পরে বিমানে ওঠার বিদঘুটে আইডিয়া তাঁর মাথায় এল?
[আরও পড়ুন: ট্রেন বাতিলের জেরে বিক্ষোভে নিত্যযাত্রীরা, তীব্র উত্তেজনা তালান্ডু স্টেশনে]
আসলে এও এক ধরনের প্রতিবাদ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জেন পরিষ্কার করে দিয়েছেন তাঁর বক্তব্য। জানিয়েছেন, যাত্রীদের জোর করে মাস্ক পরতে বাধ্য করার বিরোধিতা করতেই তিনি এই কম্মো করেছেন। তাঁর মতে, কেবল খাওয়া ও পান করার সময় ছাড়া বাকি সময় মাস্ক পরে থাকতেই হবে এই নিয়ম মেনে চলা কঠিন। নামার আগে জেন অবশ্য জানিয়েছেন, এর আগেও অন্তত ১২ বার এইভাবেই সফর করেছেন তিনি। কিন্তু কখনও তাঁকে বাধা দেওয়া হয়নি।
তবে শেষ পর্যন্ত এহেন প্রতিবাদের জন্য মূল্যও চোকাতে হল তাঁকে। অচিরেই বিমানকর্মীরা তাঁকে জানিয়ে দেন, এভাবে মুখে থং পরে তাঁকে যাত্রা করতে দেওয়া যাবে না। জেন অবশ্য খুব বেশি আপত্তি করেননি। খানিকক্ষণ কথাবার্তা বলার পর নেমেও যান। তবে তিনি নেমে যাওয়ার পরে এক যাত্রী উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন এমন সিদ্ধান্তের। তাঁর প্রশ্ন, স্রেফ মাস্ক না পরার জন্য কাউকে কি বিমান থেকে সটান নামিয়ে দেওয়া যায়? তবে বাকিরা কেউ কিছু বলেননি। নির্বিঘ্নে বিমান তার গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু ভাইরাল হয়ে গিয়েছে জেনের কীর্তি।