সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন নৌবাহিনীর (US marines) ২৪৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ব্যক্তিকে পাগড়ি (Turban) পরে কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হল। বছর ২৬-এর শিখ ধর্মাবলম্বী মার্কিন সেনা অফিসার পাগড়ি মাথায় দিয়েই আসছেন কাজে যোগ দিতে। তবে তার পরেও তিনি পুরোপুরি খুশি নন। কারণ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তাই ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট সুখবীর তুর এবার আইনি পথে হাঁটার কথা ভাবছেন।
মার্কিন সেনায় কখনওই ইউনিফর্ম ছাড়া অন্য কিছু পরার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কারণ সেনার তরফে বলা হয়, এক ধরনের পোশাক পরেই সমস্ত সেনা সদস্যের মধ্যে সাম্য ও ঐক্যের বোধ তৈরি হয়। গত পাঁচ বছর তাই কাজে যোগ দেওয়ার সময় পাগড়ি ছাড়াই ইউনিফর্ম পরতে বাধ্য হতেন সুখবীর। তবে এবার তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিছুটা গাছাড়া ভাবেই তাঁকে এই অনুমতি দেওয়া হয়। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে তিনি পাগড়ি পরেই কাজে যোগ দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে সুখবীর বলেছেন, “শেষ পর্যন্ত আমাকে সেই জীবন বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হল যা আমি করতে চাই। আমার দেশ এবং আমার ধর্মবোধের প্রতি আমাকে সৎ থাকতে দেওয়া হল। আমি যা আমি তা-ই থাকতে পারব এবং দুই তরফের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করতে পারব।”
[আরও পড়ুন: আমেরিকা-দক্ষিণ কোরিয়ার চিন্তা বাড়িয়ে ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল কিম জং উনের দেশ]
ভারতীয় অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান সুখবীর ছোট থেকে ওয়াশিংটন এবং ওহায়োতেই বড় হয়েছেন। তবে পারিবারিকভাবে ধর্মীয় প্রতীক বহন করায় তিনি অভ্যস্ত। তবে সুখবীরকে পাগড়ি পরায় অনুমতি দেওয়া হলেও, যে সমস্ত এলাকা সংবেদনশীল কিংবা যখন ইউনিফর্ম সেনার কোনও অনুষ্ঠানের অঙ্গ তখন তাঁকে পাগড়ি পরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ সুখবীর ‘পূর্ণ’ অধিকার আদায়ের লক্ষে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন।
সুখবীর বলেছেন, “আমরা অনেকটা পথ এসেছি। তবে এখনও অনেকটা পথ যাওয়া বাকি। মার্কিন মেরিন কর্পস বলে তারা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যে বিশ্বাস রাখে। এবার তাদের এটা প্রমাণ করে দেখাতে হবে। কোনও ব্যক্তিকে কেমন দেখতে লাগছে তার থেকে বেশি জরুরি সে কী এবং কেমন কাজ করছে সেটা।” আর এবার নিজের অবস্থানে কড়া সুখবীর।