সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুইন টাওয়ার হামলার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দুই দশক। ‘সর্বশক্তিমান’ মার্কিন ফৌজের চাপে মসনদ খুইয়েছে তালিবানরা। মনে করা হয়েছিল হয়তো শান্তি ফিরবে কাবুলিওয়ালার দেশে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে শান্তি আলোচনা চললেও ফের আফগানিস্তানকে রক্তাক্ত করছে তালিবান। এহেন পরিস্থিতিতে সে দেশে সৈন্য সংখ্যা বাড়াতে পারে আমেরিকা বলেই খবর পেন্টাগন সূত্রে।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলায় নিহত ৪ ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ, শোকপ্রকাশ জয়শংকরের]
প্রায় দুই দশক ধরে পাহাড়ি দেশটিতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করছে মার্কিন ফৌজ। আরও সহজ করে বলতে গেলে কাবুলকে তালিবানের হাতে যাওয়ার থেকে বাঁচিয়ে এসেছে আমেরিকার সৈনিকরা। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাপ ও ২০২০ সালে কাতারের সঙ্গে তালিবানের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করার পর আফগানিস্তান থেকে ফৌজ সরাতে তৈরি আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন যে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে কাবুলের গণতান্ত্রিক সরকার। শুক্রবার এই বিষয়ে এক বিবৃতি দেন পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, “পরিকল্পনা মাফিক ও সুশৃঙ্খল সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য আফগানিস্তানে সাময়িকভাবে আমাদের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।”
উল্লেখ্য, কেবল মার্কিন সেনাই নয়, আমেরিকার মিত্রদেশের ৭ হাজার সেনাও মোতায়েন রয়েছে আফগানিস্তানে। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন মেনে নিয়েছেন, সেনা সরানোর ডেডলাইন মেনে চলা হয়তো সম্ভব হবে না। তবে আগামী বছরেও মার্কিন সেনা সেখানে থাকুক, তাও যে তিনি চান না তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেনা সরানো নিয়ে আমেরিকার এই সংশয়কে ভাল চোখে দেখছে না তালিবানরা। ইতিমধ্যেই তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, যদি মে মাসের পরেও সেনা সরানো না হয়, তাহলে তারা বিদেশি বাহিনীর উপরে ফের হামলা চালাবে।