সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান নয়, আফগানিস্তানে আমেরিকার মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)। তাই কৌশলগত অবস্থান বদলে এবার আইএস-এর আফগান শাখাকে দমন করতে উদ্যোগী হয়েছে ওয়াশিংটন।
[আরও পড়ুন: তালিবানের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাদেনপুত্রের, আফগানিস্তানে কি ফের ষড়যন্ত্র রচনা আল কায়দার?]
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, সোমবার ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর প্রধান সানাউল্লা ঘাফারি ওরফে শাহাব আল-মুহাজিরের মাথার দাম এক কোটি ডলার ধার্য করেছে আমেরিকা। মূল ইসলামিক স্টেট অর্থাৎ ইরাক ও সিরিয়ার সংগঠনটির আফগান শাখা হচ্ছে আইএস (ISIS-K)। ২০২০ সালে সানাউল্লাকে আফগান শাখার প্রধান হিসেবে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনটি। বলে রাখা ভাল, গত আগস্ট মাসের ২৬ তারিখ কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ঘটায় খোরাসানের আত্মঘাতী জঙ্গিরা। ওই হামলায় জড়িতদের সন্ধান দিতে পারলেও একই পরিমাণের পুরস্কার দেওয়া হবে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশদপ্তর জানিয়েছে, “আফগানিস্তানে আইএস-এর সমস্ত কার্যকলাপ চলে সানাউল্লা ঘাফারির নির্দেশেই। সেই সমস্ত অভিযান চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থাও সেই করে।” সূত্রের খবর, ঘাফারির বিষয়ে বিশেষ কিছু জানা না গেলেও সে আরবের কোনও এক দেশের বাসিন্দা বলেই ধারণা গোয়েন্দাদের। ধারণা করা হয়েছে, আইএস-এ যোগ দেওয়ার আগে আল কায়দা বা হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্য ছিল সে। গত নভেম্বর মাসে তাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হয়। জন্মলগ্ন থেকেই তালিবান জঙ্গিদের নিজেদের দলে আনার চেষ্টা শুরু করে এই মৌলবাদী সংগঠনটি। ভারতে বর্তমানে সক্রিয় ইসলামিক স্টেটের সেলগুলি খোরাসান শাখার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। এদিকে, ইসলামিক স্টেট ও তালিবানের মধ্যে বিরোধ নতুন নয়। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে।