সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অত্যাধুনিক গোপন প্রযুক্তি হাতিয়ে নিতে পারে চিন (China)। তাই সমুদ্রে ভেঙে পড়া এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান উদ্ধারে মরিয়া আমেরিকা। ভেঙে পড়ার পর আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম সেরা হাতিয়ারটির খোঁজে অত্যন্ত দ্রুত অভিযান চালাচ্ছে মার্কিন ফৌজ।
[আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত মেটাতে ভারতের ভূমিকাকে স্বাগত জানাল আমেরিকা]
দিনদুয়েক আগে দক্ষিণ চিন সাগরে রুটিন মহড়ার সময় ভেঙে পড়ে আমেরিকার একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। ওই ঘটনায় সাতজন আহত হন। বিবৃতিতে মার্কিন নৌসেনা জানায়, দক্ষিণ চিন সাগরে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ‘USS Carl Vinson’-এর ডেকে নামার সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে যুদ্ধবিমানটি। ওই ঘটনায় আহত হন সাত সেনা। বিমানের পাইলটকে আমেরিকান সেনা হেলিকপ্টার উদ্ধার করে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুদ্ধবিমানের বাকি আহতদের শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল। তবে কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা তদন্তসাপেক্ষ বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে আমেরিকার নৌবাহিনী। উঠে আসছে নাশকতার তত্ত্বও। আহতদের মধ্যে তিনজনকে ফিলিপিন্সের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে, সমুদ্রে ভেঙে পড়ার পর এখনও বিমানটির খাঁচা উদ্ধার করতে পারেনি মার্কিন নৌসেনা। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এফ-৩৫ বিমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ফাইটার জেট। রাডার থেকে শুরু করে বিমানটির ‘ওয়েপনস কন্ট্রোল সিস্টেম’ প্রযুক্তি অত্যন্ত গোপনীয়। সেসব তথ্য পেতে সাত রাজার ধন দিতে রাজি চিন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলি। তাই দক্ষিণ চিন সাগরে ভেঙে পড়া মার্কিন বিমানটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে বেজিং। সেই চেষ্টায় সক্ষম হলে ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর মাধ্যমে তেমনই বিমান তৈরি করে ফেলতে পারবে কমিউনিস্ট দেশটি। অর্থাৎ, বিমন্তীর যন্ত্রাংশ খুলে সেই ডিজাইন মতো নিজের হাতিয়ার তৈরি করতে পারে তারা।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ফৌজ চলে আসার পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, তড়িঘড়ি ও ‘অপরিকল্পিত’ ভাবে সেনা প্রত্যাহারের জেরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে কোটি কোটি ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক হাতিয়ার ফেলে এসেছে মার্কিন ফৌজ। আর তালিবানের মদতে সেই হাতিয়ার তৈরির প্রযুক্তি চুরি করছে রাশিয়া ও চিন।