shono
Advertisement

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ইউনুসের কারাদণ্ড, বাংলাদেশকে তোপ আমেরিকার

আন্তর্জাতিক মহলে এই রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
Posted: 04:59 PM Jan 04, 2024Updated: 06:05 PM Jan 04, 2024

সুকুমার সরকার, ঢাকা: তিনদিন আগেই শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বাংলাদেশের গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস-সহ চারজনকে ছমাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মহম্মদ ইউনুসের কারাদণ্ডের এই নির্দেশের উপর কড়া নজর রাখছে আমেরিকা বলে খবর। আন্তর্জাতিক মহলে এই রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বুধবার বছরের প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যাথিউ মিলার বলেন, “মহম্মদ ইউনুস বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, যা নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং অন্যান্য অনেক আন্তর্জাতিক সম্মানের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা অবশ্যই এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা চাই।” আসন্ন নির্বাচনে প্রসঙ্গে মিলার বলেন,”বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। আমরা সেখানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। বিষয়টি আমরা বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করে দিয়েছি। এই নির্বাচন আমরা খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করব।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা চালু করেন মহম্মদ ইউনুস। গ্রামীণ টেলিকমের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত করেছেন ইউনুস বলেও মনে করেন অনেকে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু এই দুই প্রতিষ্ঠানেই বিস্তর আর্থিক কেলঙ্কারি হয়েছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বেআইনিভাবে শ্রমিক ও কর্মীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ লোপাট।      

[আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি জটিল’, ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনারকে স্মারকলিপি জমা মহিলা পরিষদের]

বলে রাখা ভালো, ভোটমুখী বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্য নতুন ভিসা নীতি চালু করেছে আমেরিকা। সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারীদের ‘সাজা’ দিতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছে ওয়াশিংটন। যাকে ‘হাতিয়ার’করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে বিএনপি। কিন্তু হাসিনা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এনিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ এছাড়াও কীভাবে বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সেই বিষয়েও জবাব চেয়েছে আমেরিকা।

অন্যদিকে, গণতন্ত্রের এই বৃহত্তম উৎসবে ‘আগুন সন্ত্রাস’ চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামাত গোষ্ঠী। গত এক মাসে নির্বাচনী হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। জখম শতাধিক। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রচার কেন্দ্র। এমনকী হামলা চালানো হয়েছে পুলিশের উপরেও। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে ১৩৮টি রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবারেও সংঘর্ষের খবর মিলেছে। এদিন ঢাকার কাছে ধামরাইয়ে বিএনপি মিছিল করে। সেখান থেকে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের গাড়িতে হামলা-ভাঙচুরও করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশকর্মী-সহ সদস্য মোট ২০ জন জখম হয়েছেন। এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement