সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের (Myanmar) সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ করল আমেরিকা। এবার সামরিক জুন্টার সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ২২ জন ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ওয়াশিংটন।
[আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত গাজা, হামাসের বেলুন হামলার জবাবে বোমাবর্ষণ ইজরায়েলের]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সেনা অভ্যুত্থান ও গণতন্ত্রকামীদের উপর নৃশংস অত্যাচারের বিরুদ্ধে সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে বাইডেন প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে সেনাশাসকদের নিয়োগ করা জাতীয় প্রশাসনিক পরিষদের ৩ সদস্য, ৪ ক্যাবিনেট সদস্য ও বার্মিজ সেনা আধিকারিকদের ১৫ প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান। এই বিষয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, “বার্মিজ সেনার দ্বারা চালানো নিপীড়ন ও অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আমরা এই পদক্ষেপ করেছি।” দেশটিতে দ্রুত গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিও জানান তিনি। এদিকে, বন্দি নেত্রী আং সান সু কি’র মুক্তির দাবিতে মায়ানমারের সেনাশাসকদের উপর চাপ বাড়িয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। বৃহস্পতিবার জুন্টাকে কড়া বার্তা দিয়ে দ্রুত গণতন্ত্র বহাল করা ও বন্দি জনপ্রতিনিধিদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায় আন্তর্জাতিক মঞ্চটি।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারের (Myanmar) পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রকামীদের প্রবল বিক্ষোভের পর এবার বার্মিজ সেনার বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন। তারপর রাষ্ট্রসংঘেও চাপের মুখে পড়েছে দেশটির সেনাশাসকরা। কয়েকদিন আগেই মায়ানমারের সামরিক জুন্টার নিন্দায় প্রস্তাব পাশ করা হয় আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এহেন পরিস্থিতিতে বুধবার ২ হাজার ৩০০ জন বন্দিকে মুক্তি দেয় সামরিক জুন্টা। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখানোর ‘অপরাধে’ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মায়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম Kyodo News জানায়, জুন্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখানোর অভিযোগে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও বেশ কয়েকজন সেলেব্রিটিকে গ্রেপ্তার করেছে বার্মিজ সরকারি বাহিনী। তবে মানবাধিকার কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, দেশজুড়ে চলা নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঢাকতে বন্দিমুক্তির পদক্ষেপ নিয়েছে সেনাশাসকরা।