সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে চলা টানাপোড়েনের মাঝে বড় পদক্ষেপ আমেরিকার। বুধবার পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত ৩ হাজার সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করল পেন্টাগন। এর ফলে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সংঘাত নতুন মাত্র লাভ করল বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ হামলার মুখে পাকিস্তানি ফৌজ, বালোচিস্তানে বিদ্রোহের দাবানল]
পেন্টাগন সূত্রে খবর, দু’চার দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের পড়শি দেশ পোল্যান্ডে ১ হাজার ৭০০ সেনা পাঠানো হবে। আমেরিকা থেকে ৩০০ জওয়ানের একটি সেনাদল যাবে জার্মানিতে। আবার জার্মানিতে মোতায়েন থাকা ১ হাজার মার্কিন সেনাকে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি জানিয়েছেন, পোল্যান্ড, জার্মানি ও রোমানিয়ায় সঙ্গে থাকা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত মেনেই কিছু সময়ের জন্য অতিরিক্ত ফৌজ পাঠানো হচ্ছে। তবে এই বাহিনীর রাশ থাকবে আমেরিকার হতেই। তিনি আরও জানান, এই বাহিনী ইউক্রেনে লড়াই করবে না। অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন উদ্দেশ্য হচ্ছে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটকে মদত দেওয়া। মস্কোর উদ্বেগ বাড়িয়ে কিরবি আরও জানিয়েছেন, গত মাসেই অন্তত সাড়ে আট হাজার মার্কিন সেনাকে পূর্ব ইউরোপে যাওয়ার জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হল।
এদিকে, আমেরিকার এহেন পদক্ষেপে অশনি সংকেত দেখছেন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করছে রোমানিয়া ও পোল্যান্ড। অন্যদিকে, বেলারুশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করছে পোল্যান্ড। আর বেলারুশেই রয়ছে রুশ সেনার একটি বড় সেনাদল। ফলে এটা স্পষ্ট যে রাশিয়াকে রুখতে একটি বলয় তৈরি করছে ওয়াশিংটন। এহেন পরিস্থিতিতে, ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নিজেদের কৌশলগত অবস্থান মজবুত করার চেষ্টা করতে পারে মস্কো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক মার্কিন সংস্থা কিছু উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে এনেছে। আর তা দেখেই ঘুম উড়েছে বিশ্ববাসীর। যুদ্ধের আতঙ্কে কাঁটা ইউরোপবাসী। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল সমরাস্ত্র এবং হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। এমনকী, বেলারুশ, ক্রিমিয়া এবং পশ্চিম রাশিয়ায় মোতায়েন হয়েছে বিপুল সংখ্যক সেনা। পাঠানো হয়েছে গোলা-বারুদ, কামান। ট্রেনে করে সীমান্তে পৌঁছে যাচ্ছে যুদ্ধের রসদ। উপগ্রহচিত্র বলছে, বেলারুশের প্রশিক্ষণ শিবিরে ঘাঁটি গেড়েছে রুশ সেনা। জোরকদমে চলছে প্রশিক্ষণ। এমনকী, হাতেকলমে শেখানো হচ্ছে কামান দাগা। যা দেখে মনে হতেই পারে বড়সড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পুতিনের সেনা। বেলারুশে ব্যালেস্টিক মিসাইল মোতেয়ন করা হয়েছে।