সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০১ সালের অভিশপ্ত ৯/১১-র ঘটনায় আমেরিকা-সহ (America) গোটা বিশ্ব কেঁপে উঠেছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নাশকতা হামলায় মৃত্যু হয় প্রায় তিন হাজার মানুষের। ২০০৩ সালে গ্রেপ্তার হয় টুইন টাওয়ারে হামলার অন্যতম চক্রী আল কায়দা জঙ্গি খালিদ শেখ মহম্মদ (Khalid Sheikh Mohammed)। গত ২৩ বছর ধরে আমেরিকায় জেলবন্দি লাদেনের বিশ্বস্ত সঙ্গী। এবার খালিদ-সহ তিন জঙ্গিকে দোষ স্বীকার করিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দিকে এগোচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দারা।
প্রথমবার ২০০৭ সালে জেরার সময় খালেদ স্বীকার করেছিল ৯/১১-এর হামলার অন্যতম চক্রী সে। পরে ২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে আঠারো পাতার একটি চিঠি লিখেছিল খালিদ। সেখানে সে জানায় তাকে সেল-এ বন্দি রেখে দিলেও সে খুশি। বাকি জীবনটা আল্লাহ্-র নাম করেই কাটিয়ে দেবে। আর যদি তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়, তাতে আরও খুশি। তার কথায়, ‘‘আল্লাহ্-র সঙ্গে দেখা হবে। তোমরা যাদের মেরে ফেলেছ, সেই সব বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে দেখা হবে।’’ হিরোশিমা, ভিয়েতনাম, ইরান এবং ইরাকে মার্কিন অভিযানের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে ৯/১১-র পক্ষে আরও যুক্তি সাজিয়েছিল খালেদ।
[আরও পড়ুন: ‘সংসদে একবারও ভুমিধসের কথা বলেননি কেন?’, ওয়ানড় কাণ্ডে রাহুলকে নিশানা বিজেপির]
২০০৮ সালে এই আল কায়দা জঙ্গির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, হত্যা, নাশকতা, সাধারণ নাগরিকের উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, জঙ্গিবাদ-সহ একাধিক মামলা করে পুলিশ। প্রথম থেকেই মার্কিন আদালতে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে এসেছে গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, নতুন করে খালিদকে দিয়ে আদালতে দোষ স্বীকারের পরিকল্পনা করেছেন তদন্তকারীরা। তবে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন থেকে সরছে না এফবিআই। উল্লেখ্য, মার্কিন আইন অনুযায়ী দোষ স্বীকার করলে শর্তসাপেক্ষে অপরাধীকে মুক্তি দিতে বাধ্য থাকে আদালত। যদিও খালিদের মতো ভয়ংকর অপরাধীর ক্ষেত্রে বিষয়টিকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখা হচ্ছে।