সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবছর আগে তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে যুবককে জুতোর মালা পরিয়ে গ্রামে ঘুরিয়েছিলেন এক প্রতিবেশী। পরে 'অপমানে' গ্রাম ছাড়েন অভিযুক্ত। তবে ঘটনাটি মোটেই ভুলতে পারেননি তিনি। ফিরে এসে ঘনশ্যাম সাইনি নামে ওই ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম মনবীর। খুনের পর রাজস্থানে পালিয়ে যাওয়ার আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করে ধৃত জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে তরুণীকে শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ আনেন ঘনশ্যাম। ওই তরুণী মৃতের ভাইঝি বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই ঘটনার পর মৃতের বাড়িতেই সালিশি সভা বসে। সেখানে যুবককে জুতোর মালা পরানো হয়। এর পর মনবীর কার্যত ঘরবন্দি হয়ে পড়েন। তাঁকে নিয়ে সবাই হাসাহাসি করত বলে দাবি। এর পরই অপমান সহ্য করতে না পেরে ট্রাক চালকের কাজ নিয়ে রাজস্থানে চলে যান তিনি।
ধৃতের আরও দাবি, "বাড়িতে ফিরে আসার পরও প্রতিবেশীরা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করত। আত্মীয়রা বাড়িতে এলে ঘনশ্যাম ও প্রতিবেশীরা সেই কথা ফলাও করে বলত। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমার অনেক রাগ জমে ছিল।" তাঁর আরও দাবি, এই কারণে কেউ তাঁকে বিয়ে করতে রাজিও হচ্ছিলেন না।
অভিযোগ, গত ১৬ অক্টোবর ঘনশ্যামকে মাঠে একা পেয়ে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেন মনবীর। ধৃত পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘনশ্যামের হাঁটুতে ছুরি দিয়ে আঘাত করার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ক্রমাগত ছুরি চালাতে থাকেন তিনি। তার পর ঘটনাস্থল ছেড়ে এক বন্ধুর বাড়িতে পালিয়ে যান। ধৃতের ধারণা ছিল এই ঘটনায় পুলিশ তাঁকে সন্দেহ করবে না। কিন্তু খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে মনবীরকেই অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।