shono
Advertisement
Uttar Pradesh

স্কুলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে 'ক্যান্ডি ক্র্যাশ' খেলতেন! চাকরি গেল উত্তরপ্রদেশের শিক্ষকের

জেলাশাসকের রিপোর্টে চাকরি গেল অভিযুক্ত শিক্ষকের।
Published By: Kishore GhoshPosted: 03:47 PM Jul 11, 2024Updated: 03:53 PM Jul 11, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গেম খেলায় অতিরিক্ত আসক্তিই কাল হল। মোবাইলের জনপ্রিয় ভিডিও গেম ক্যান্ডি ক্র্যাশ যোগীরাজ্যের এক শিক্ষকের চাকরি খেলো। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, স্কুলে পড়াতে এসেও মোবাইল নিয়ে বসে থাকতেন, ছাত্রদের পড়ানো-সহ অন্যান্য কর্তব্য ঠিক মতো পালন করতেন না। এর পর ফোন খতিয়ে দেখে শিক্ষকে ছাঁটাই করল স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন স্কুল ইন্সপেক্টর জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া। ওই স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের খাতা দেখে চমকে যান রাজেন্দ্র। ছ'জন ছাত্রের ছয় পাতা লেখায় ৯৫টি ভুল পান তিনি। এর পরেই খোঁজ পড়ে শিক্ষক প্রিয়ম গোয়েলের। তিনি কী করছিলেন? পড়ুয়াদের বাড়ির কাজের খাতা দেখে দেননি কেন? সেই প্রশ্ন তোলেন জেলাশাসক। যদিও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রিয়ম। তাঁর ফোন খতিয়ে দেখে চমকে যান রাজেন্দ্র।

 

[আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ নয়, পৃথিবীকে বুদ্ধ দিয়েছে ভারত’, অস্ট্রিয়া সফরে বিশ্ব শান্তির বার্তা মোদির]

অভিযুক্ত প্রিয়মের ফোনের ডেটাই বলে দেয়, স্কুলে কমপক্ষে যে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় দেওয়া উচিত, তার মধ্যে শুধু দু'ঘণ্টা 'ক্যান্ডি ক্রাশ' খেলেছেন শিক্ষক, ২৬ মিনিট কথা বলেছেন এবং ৩০ মিনিট সোশাল মিডিয়া অ্যাপে সময় কাটিয়েছেন তিনি। এই তথ্য মেলার পরে জেলাশাসকের মাথায় আগুন চড়ে যায়। তিনি বিষয়টি রাজ্যের শিক্ষা বিভাগকে জানান। শিক্ষা বিভাগ ওই সহকারী শিক্ষককে বরখাস্ত করে।

 

[আরও পড়ুন: ‘অভিশপ্ত’ ছেলের জন্য ‘ইচ্ছেমৃত্যু’ প্রার্থনা, মা-বাবার আর্জি খারিজ করল আদালত]

জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া বলেন, "শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের ক্লাসের এবং বাড়ির কাজ পরীক্ষা করে দেখা। পড়ুয়ারা যাতে করে উন্নত শিক্ষা পায় তা নিশ্চিত করা উচিত তাঁদের। মোবাইল ফোন ব্যবহার করা কোনও সমস্যার বিষয় নয়। তবে স্কুল চলাকালীন ব্যক্তিগত কারণে ফোন ব্যবহার করা ঠিক নয়।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন স্কুল ইন্সপেক্টর জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া।
  • জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া বলেন, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের ক্লাসের এবং বাড়ির পরীক্ষা করা।
Advertisement