সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড পরীক্ষা (COVID test) করাতে চান। কিন্তু সকলের সামনে ঘোমটা সরাতে লজ্জাবোধ হচ্ছে। এমনই কথা জানিয়েছিলেন সদ্যবিবাহিত তরুণীটি। তাই আশপাশের জনতাকে একটু সরে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপরই ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল ক্ষুব্ধ জনতার বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আলিগড়ের সাহানগর সারাউলা গ্রাম সাক্ষী থাকল এমনই অনভিপ্রেত এক ঘটনার।
ঠিক কী হয়েছিল? স্বাস্থ্যকর্মীদের দলের একজন জানিয়েছেন, ওই গ্রামে তাঁরা গিয়েছিলেন কোভিড লক্ষণ থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করতে। সবকিছু ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। গ্রামবাসীরা সহায়তা করছিলেন দ্রুত অ্যান্টিজেন টেস্ট সম্পন্ন করার ব্যাপারে। কিন্তু এই সময়ই সেখানে আসেন এক সদ্য বিবাহিত দম্পতি। সেখান থেকেই সমস্যার সূচনা।
[আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প আসলে ‘মৃত্যুদুর্গ’! দিল্লি হাই কোর্টে বিস্ফোরক সওয়াল আইনজীবীর]
জানা গিয়েছে, সেখানে অন্তত ৩৭ জন নারী-পুরুষ উপস্থিত হয়েছিলেন পরীক্ষা করাতে। সেখানেই ছিলেন ওই নববধূটিও। কিন্তু তিনি জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য ভিড়ের সামনে ঘোমটা তোলা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। বারবার অনুরোধ করার পরেও তিনি ঘোমটা তুলতে রাজি হননি। তখন স্বাস্থ্যকর্মীরা আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জনতাকে একটু সরে দাঁড়াতে অনুরোধ করেন। এরপরই শুরু হয়ে যায় গন্ডগোল।
উপস্থিত জনতার একটা বড় অংশ, যাঁরা বয়সে তরুণ, তাঁরা চড়াও হন স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে। কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। প্রবল মারধর করা হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাঁদের মধ্যে দু’জনের চোট গুরুতর। কেবল মারধর করাই নয়, ছিঁড়ে দেওয়া হয় সরকারি কাগজপত্র, নথিও। কেড়ে নেওয়া হয় টেস্ট কিট। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।