বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজস্থানে বিজেপির (BJP) দ্বিতীয় প্রার্থীতালিকায় ঠাঁই পেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধারা রাজে সিন্ধিয়া। নিজের পুরোনো আসন ঝালারপাটান থেকেই লড়বেন ‘মহারানি’। রাজের পাশাপাশি তাঁর অনুগামীদের অনেককেও জায়গা দেওয়া হয়েছে বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায়।
বসুন্ধারা রাজে সিন্ধিয়া (Vasundhara Raje) তর্কসাপেক্ষে রাজস্থানে বিজেপির সবচেয়ে বড় মুখ। অথচ এবারের বিধানসভা নির্বাচন পর্বের শুরু থেকে তাঁকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। এমনকী প্রার্থী করা হবে কিনা সেটা নিয়েও সংশয় ছিল। তাতে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। ভোটপ্রচারে কার্যত নিস্ক্রিয় ছিলেন বসুন্ধারা। বসে গিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরাও। ঠিক যেভাবে কর্নাটকে ইয়েদুরাপ্পাকে বসিয়ে দেওয়ার ফল ভুগতে হয়েছিল, রাজস্থানেও সেই একই পরিস্থিতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় শেষমেশ মহারানিকে ফেরাতে বাধ্য হল বিজেপি।
[আরও পড়ুন: ‘নতুন ভারতের শিল্পকার’, দেশের প্রথম রিজিওনাল র্যাপিড ট্রেনের সূচনা, মোদিকে কুর্নিশ যোগীর]
শনিবার দ্বিতীয় দফায় গেরুয়া শিবির যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তাতে নাম রয়েছে মহারানির। তাঁর অনুগামীদের অনেকেই টিকিট পেয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজেকে টিকিট দিয়ে আসলে বিজেপি ড্যামেজ কন্ট্রোল করছে। আগামী দিনে প্রচারেও তাঁকে ব্যবহার করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের চাপ, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে ঢোক গেলা শুরু গিরিরাজের!]
এদিকে গেহলট-পাইলটের দীর্ঘ দ্বন্দ্ব মিটিয়ে শাসকদল কংগ্রেস রাজস্থান বিধানসভার প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। যদিও প্রথম দফায় ২০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে আবার পাইলট শিবির এবং গেহলট শিবিরের ঐক্যও দেখানো হয়েছে। প্রথম তালিকায় দুজনেরই নাম রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী গেহলট যেমন নিজের কেন্দ্র সর্দারপুরা থেকে লড়বেন, তেমনই পাইলটও লড়বেন নিজের কেন্দ্র টঙ্ক থেকে। প্রদেশ সভাপতি গোবিন্দ সিং ডোতাসরাকেও লছমনগড় থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।