সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম না করে বিহারের (Bihar) জাতিগত জনগণনার ফলাফলকে মঙ্গলবার তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিকে এদিনই কর্নাটকের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এম বীরাপ্পা মৈলি দাবি করলেন, জাতিগত জনগণনার ফলাফল প্রকাশ করা হোক।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৩-১৮ সালে দক্ষিণী রাজ্যে তৎকালীন সিদ্দারামাইয়া সরকারের আমলে জাতিগত জনগণনা হয়েছিল। কিন্তু কুমারস্বামী কিংবা ইয়াদুরাপ্পা অথবা বম্মাই সরকারের আমলে সেই ফল প্রকাশ করা হয়নি। সেকথার উল্লেখ করে তাঁর দাবি, ”অর্থাৎ জেডিএস ও বিজেপি ফলাফল প্রকাশে রাজি নয়। এটা তো পরিষ্কার।” সেই সঙ্গেই সিদ্দারামাইয়া সরকারের কাছে তাঁর আর্জি, দ্রুত এই ফল প্রকাশ করা হোক।
[আরও পড়ুন: চিনা টাকায় চলছে সংবাদ ওয়েবসাইট? সাংবাদিকদের বাড়িতে তল্লাশি দিল্লি পুলিশের]
প্রসঙ্গত, বিহারের জাতিগত জনগণনার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিহারের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি সম্প্রদায়ের। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশই অত্যধিক অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। জেনারেল কাস্টের অন্তর্গত রয়েছেন ১৫ শতাংশ জনতা। এছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ১৯ শতাংশ। সেই রিপোর্ট সামনে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, আসন্ন জনগণনায় তফসিলি জাতি ও উপজাতি ছাড়া আর কোনও জাতপাতের উল্লেখ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কেন্দ্রের আপত্তি উড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগেই শুরু হয়েছিল বিহারের জাতিগত জনগণনা।
[আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গুর দাপট অব্যাহত, দক্ষিণ দমদমে মৃত্যু প্রৌঢ়ার, বড়ঞায় প্রাণ গেল যুবকের]
এই পরিস্থিতিতে ফলাফল প্রকাশের পর মঙ্গলবারই মোদি কংগ্রেসকে পরোক্ষে কটাক্ষ করে বলেছেন, ”গোটা বিশ্ব আজ ভারতের প্রশংসা করছে। কিন্তু সেই ভালো কাজগুলোই এতদিন হয়নি কেন? আসলে তারা গরিব মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করেছে। জাতি পরিচয়ের ভিত্তিতে বিভাজন ঘটিয়েছে সমাজে। দেশকে ভাগ করতে চাইছে জাতির নিরিখে। সেই পাপ কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে তারা।” এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়ালেন মৈলি।