সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোলগাল মুখ, ছোট্ট লাল ঠোঁট! একেবারে মিষ্টির দলা! অবশেষে নবাব পরিবারের অন্দরমহল থেকে প্রকাশ্যে এল করিনা কাপুর খান (Jeh) ও সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ছোট ছেলে জেহর ভিডিও! যার নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল শোরগোল। সেই ছোট্ট জেহ-ই শুক্রবার স্পটলাইটে চলে এল দুম করে।
কালো রঙের লম্বা গাড়ির ভিতর বাবা সইফের কোলে বসে ছোট্ট জেহ। গোল গোল চোখে তাকিয়ে জানলার বাইরে। পাপারাৎজিদের ক্যামেরা দেখে রীতিমতো অবাক। কী হচ্ছে, কেনই বা হচ্ছে, ছোট্ট মগজে বুঝতে পারা সত্যিই কঠিন। দাদা তৈমুরও ঠিক এমনটিই ছিল। একটু বড় হতেই অবশ্য ক্যামেরার মাহাত্ম্য বুঝে গিয়েছিল তৈমুর আলি খান (Taimur Ali Khan)। এখন তো পাপারাৎজিদের ফেভারিট মডেল তিনিই। তবে তৈমুরের ভাইকে দেখে নেটিজেনরা বলছেন, তৈমুরের থেকেও বেশি মিষ্টি ছোট্ট জেহ!
[আরও পড়ুন: Srabanti’র জীবনে নতুন প্রেম কি অভিরূপ? উত্তর দিলেন অভিনেত্রী নিজেই]
তৈমুর ও জেহ, দুই ছেলের নাম নিয়ে তুমুল শোরগোল নেটদুনিয়ায়। ব্যঙ্গ, বিদ্রুপের পালা চলছেই। সমস্ত কিছু নিয়ে মুখ খুললেন করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan)। জানিয়ে দিলেন, কোনও নেগেটিভ চিন্তাকে আমল দিতে রাজি নন তিনি। শুধুই পজিটিভ ভাবধারা নিয়ে বাঁচবেন।
২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) ও করিনা কাপুরের প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খানের জন্ম হয়। সেই সময় বিস্তর বিতর্ক হয়। ছেলের নাম তৈমুর কেন রাখা হয়েছে? সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান অনেকে। বেশ কিছুদিন ধরেই ট্রোলের পালা চলেছিল। অবশ্য সেই বিতর্ক এখন অতীত। এখন করিনার দ্বিতীয় সন্তানের নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ছেলের নাম জেহ (Jeh) রাখেন করিনা। কিন্তু পরে শোনা যায়, ছোট ছেলের নাম নাকি জাহাঙ্গীর রেখেছেন সইফ (Saif Ali khan) ও করিনা। যদিও, নিজের বই ‘করিনা কাপুর খান’স প্রেগনেন্সি বাইবেল: দ্য আল্টিমেট ম্যানুয়াল ফর মমস টু বি’ নিয়ে করণ জোহরের (Karan Johar) এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে করিনা জানান, তাঁর ছেলের নাম জেহ আলি খান। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের পালা শুরু হয়ে যায়। দ্বিতীয় সন্তানের নাম জাহাঙ্গীর রেখেছেন সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর। নাম রেখেই ট্রোল হয়ে যান নবাব। এবার অধীর আগ্রহে ঔরঙ্গজেবের জন্য অপেক্ষা করছি।” এমন মন্তব্য করা হয়।
ট্রোলের জবাব দিতে ভালভাবেই জানেন সইফের বেগম। এই সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি খুবই পজিটিভ মানুষ আর শুধুমাত্র আনন্দ ও পজিটিভিটি ছড়াতে চাই। আমাদের জীবনে নেগেটিভিটির কোনও স্থান নেই। দেখুন Covid-19 অতিমারীতে কী পরিস্থিতি হয়েছে। এটা সকলকে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। এই বিষয় নিয়েই আমাদের সকলের ভাবা উচিত।” নেগেটিভ চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে ধ্যান করার কথাও জানান করিনা।