ধীমান রায়, কাটোয়া: ‘খুশি করলেই’ মিলবে চাকরি। পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডলকে ফোন করে কুপ্রস্তাব পেলেন তরুণী! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কথোপকথনের অডিও এবং হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের ক্লিপিং। যার সত্যতা যাচাই করেনি SangbadPratidin.In। এই কথোপকথনকে কেন্দ্র করে শুরু শাসক-বিরোধী জোর তরজা।
দিনকয়েক আগে কৃষক পরিবারের সন্তান এক তরুণী দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান তথা অগ্রদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক শিশির মণ্ডলকে ফোন করেন। ভাইরাল অডিও ক্লিপিংয়ে শোনা গিয়েছে, একটি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আরজি জানান তরুণী। পালটা তাঁকে বায়োডেটা নিয়ে দেখা করার কথা বলেন চেয়ারম্যান। তরুণী দাবি করেন, সেই সময় কৃষ্ণনগরে তাঁর মাসির বাড়িতে রয়েছেন। তাই দেখা করা সম্ভব নয়। এরপরই শারীরিক সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দেন চেয়ারম্যান। কৃষ্ণনগর স্টেশন লাগোয়া একটি হোটেলে যৌন মিলনের প্রস্তাব দেন দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান। এমনকী অডিও ক্লিপিংয়ে তরুণীর সঙ্গে অন্তর্বাস নিয়ে চেয়ারম্যান আলোচনা করছেন বলেও শোনা গিয়েছে। প্রায় ৩০ মিনিটের কথোপকথনের ভাইরাল অডিও এবং হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের ক্লিপিংয়ের সত্যতা যাচাই করেনি SangbadPratidin.In।
[আরও পড়ুন: বিএড, ডিএলএডে অফলাইন ভরতির টাকা পেতেন মানিক! বিস্ফোরক তাপস মণ্ডল]
দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ। কোনও এক তরুণী যে তাঁকে ফোন করেছিলেন, তা স্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান। তবে দাবি, কুপ্রস্তাব তিনি দেননি। ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে এমন চক্রান্ত করা হয়েছে বলেই মনে করছেন দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান। প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন তিনি।
চেয়ারম্যান যাই বলুন না কেন, এই কথোপকথনকে হাতিয়ার করে রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধেছে বিজেপি। নেত্রী বিনীতা বড়াল ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবিতে সরব। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভাইরাল কথোপকথন শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানাব।”