সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতি, ধর্ম যখন দেশে ওতপ্রোতোভাবে জড়িত। ধর্মের নামে ভোট ভাগাভাগি হয় কিংবা ধর্ম ধজ্বাধারীদের রোষানলে পড়তে হয় সিনেনির্মাতাদের, তখন লোকসভা ভোটের আবহে বিদ্যা বালান বলছেন, "ধর্মের বিষয়ে ভারত এখন অনেক বেশি মেরুকরণে বিশ্বাসী। ধর্মীয় পরিচয়ের দিকেই ঝুঁকছে মানুষ। আগে কিন্তু দেশে এহেন দৃশ্য দেখা যেত না, তবে এখন পরিস্থিতি অনেক বদলেছে।" সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজস্ব মতামত ভাগ করে নেন অভিনেত্রী বিদ্যা বালান
(Vidya Balan)।
নিজের সাম্প্রতিক সিনেমা 'দো অউর দো প্যায়ার' সিনেমার প্রচারে এক বলিউড সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিদ্যা জানান, "এর আগে দেশবাসী হিসেবে কেউ ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে মাথা ঘামাত না। তবে এখন কেন জানি না বিষয়টা এরকম হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু রাজনীতি নয়, সোশাল মিডিয়াতেও তাই। মেরুকরণ বিষয়টিকে আরও পোক্ত করে তোলার নেপথ্যে সমাজ মাধ্যমের একটা বড় হাত রয়েছে। এরা পরিস্থিতিটাকে আরও খারাপ করে তুলেছে। মানুষ আরও বেশি একা এখন!"
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মা হিসেবে ইতিহাস বাঁধনের, প্রথম মহিলা যিনি পেলেন সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব]
নিজে আধ্যাত্মিক মানুষ হয়ে, নিত্যদিন পুজো করা সত্ত্বেও বিদ্যা বালান কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য অর্থদান করেন না। কেন? অভিনেত্রীর কথায়, "কেউ যদি আমার কাছে কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য অনুদান চাইতে আসে, আমি কখনও দিই না। আমি বলি, আপনারা যদি হাসপাতাল, স্কুল কিংবা কোনও শৌচালয় বানাতে চান, তাহলে আমি খুশি হয়ে টাকা দেব। তবে কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক সাহায্য করব না।"
রাজনীতির সঙ্গে যেখানে গ্ল্যামারদুনিয়া এখন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, সেখানে বিদ্যা বালানের রাজনৈতিক দর্শন কী? এপ্রসঙ্গে অভিনেত্রীর মন্তব্য, "রাজনীতিকে খুব ভয় পাই বাবা! তারপর আমাকে নিষিদ্ধ করে দিলে? আমার সঙ্গে এরকমটা ঘটেনি ঠিকই, তবে তারকারা এখন রাজনীতি নিয়ে একটু সমঝেই কথা বলেন। কারণ কার, কখন মনোক্ষুণ্ণ হয়! বিশেষ করে কোনও রিলিজের সময়ে, কারণ ওই ছবিটির নেপথ্যে আরও ২০০ জনের কসরত থাকে। তাই আমি বলি, আমাকে রাজনীতি থেকে দূরেই রাখুন। মুখ বন্ধ করে কাজ চালিয়ে যাওয়াই ভালো।"