সুব্রত বিশ্বাস: টিকিট নেই! তাতে কী? কড়ি ফেললেই দিব্বি মিলবে রাজধানীর সফর সুখ। হ্যাঁ, এভাবেই দিনের পর দিন ভেলকি দেখিয়ে রেলের পকেট কাটছে এক শ্রেণির অসাধু টিটিই বা টিকিট পরীক্ষক। এবার সেই চক্রই ফাঁস করলেন গোয়েন্দারা।
অনেকেই বলছেন, দালালদের থেকেও ভয়ানক হয়ে উঠেছে টিটিইদের একাংশ। টাকা নিয়ে রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো অভিযাত ট্রেনেও বেআইনি সফরের ব্যবসা চালাচ্ছে তারা। গত বুধবার অত্যন্ত সুকৌশলে এমনই এক টিকিট পরীক্ষকে পাকড়াও করল ভিজিল্যান্স। অভিযোগ, বিনা টিকিটে রাজধানী এক্সপ্রেসে লোকজনদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিনিময়ে মোটা টাকা নেওয়া হত।
[আরও পড়ুন: ISF প্রার্থীর লেখা দেওয়ালে ‘বোমা’ তৃণমূলের, ভোটের সপ্তাহখানেক আগে ফের উত্তপ্ত ভাঙড়]
সূত্রের খবর, এই চক্রের পর্দাফাঁস করতে শিয়ালদহ-রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়ে বসেন দুই ভিজিল্যান্স ইন্সপেক্টর। নিজেদের যাত্রী পরিচয় দিয়ে টিটিইকে আসানসোল নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন তাঁরা। এরপর কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষক ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু রফা হয় এক হাজার টাকায়। টাকা লেনদেনের পর তাঁদের রাজাধানী এক্সপ্রেসে যাওয়ার অনুমতি দেন টিকিট পরীক্ষক। কিন্তু, আগেভাগেই টাকার নম্বর দিয়ে অভিযোগ লিখে রেখে ছিল ভিজিল্যান্স। তারপরেই সেই টাকা-সহ ধরা হয় টিকিট পরীক্ষককে। কমার্শিয়াল বিভাগ সূত্রে ঘটনা জানিয়ে বলা হয়েছে, ওই টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো কুলীন ট্রেনে মূলত চেকিং কম হওয়ায় বিষয়টিকে কাজে লাগান রেলকর্মীদর একাঁস বলে অভিযোগ। কুরিয়ারের মাল নিয়ে যান অনেক কোচ অ্যাটেন্ডেন্ট। এমন অভিযোগ পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে ধরাও হয়েছে অনেককে। বিহারে মদ নিষিদ্ধ। গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রেনে অনেকে লুকিয়ে মদ পাচার করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। জিএসটি ফাঁকি দিতে সোনা, রূপা ও নগদ অর্থ নিয়ে যান অনেক ব্যবসায়ী। আর এহেন ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে রেলকর্মীদের মদত বলে জানা গিয়েছে।