shono
Advertisement

আজও আছে রাজার রাজত্ব, নরমুণ্ড শিকারি, ভারতের কোথায় সেই গ্রাম?

ভারতে খেয়ে মায়ানমারে ঘুমোতে যায় নরমুণ্ড শিকারিরা!
Posted: 08:05 PM Feb 17, 2022Updated: 08:51 PM Feb 17, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধরুন, আপনি যেখানে থাকেন সেখানকার নিয়ম হল, যার বাড়িতে যত বেশি নরমুণ্ড আছে, সে তত বেশি সম্মাননীয়। শুনলেই মনে হয় রূপকথা কিংবা নেহাত আদিম যুগের কাণ্ড। না, মোটেও তা না। ১৯৬০ সালেও ভারতের একটি গ্রামে এটাই ছিল মান্যগণ্য হওয়ার সামাজিক নিয়ম। বিশ্বাস না হলেও সত্যি। কোথায় সেই গ্রাম?

Advertisement

তাহলে যেতে হবে নাগাল্যান্ডে (Nagaland)। গ্রামের নাম লংওয়া (Longwa)। এ-গ্রামে থাকেন কোনিয়াক উপজাতির মানুষ। এই সেদিনও শত্রুর কাটমুণ্ড নিয়ে গ্রামে ফিরেছেন যোদ্ধা কোনিয়াক যুবক৷ অন্যদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাণ্ডার এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১৪০০ মিটার। নাগাল্যান্ডের মোন জেলাসদর থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে লংওয়া। গ্রামটির অবস্থানও আকর্ষণীয়৷ ভারত-মায়ানমার সীমান্তের ঠিক মাঝখানে পরে গ্রামটি৷ তা নিয়ে মজার কাণ্ড হয়। সে কথা পরে হবে। এখন বলা যাক- গত শতাব্দীর ছয়ের দশেকেও গ্রামের পুরুষরা যখনই সংঘর্ষে জড়িয়েছে, তখনই শত্রুপক্ষের মাথা কেটে, তা সঙ্গে নিয়ে তবে বাড়ি ফিরেছে৷ যেহেতু বহুকালের রীতি, যার সংগ্রহে যত বেশি নরমুণ্ড সে তত সম্মাননীয়৷

[আরও পড়ুন: কথা না শুনলে বউকে পেটান, স্বামীদের পরামর্শ দিলেন মহিলা মন্ত্রী, ভাইরাল ভিডিও]

কোনিয়াক নারী-পুরুষরা মুখে ও গায়ে এক ধরনের কল্কা করেন। মাথায় পরেন অদ্ভুত দর্শন মুকুট। গোটা শরীরে থাকে বড়সড় অলঙ্কার। সে এমন সাজ যা দেখে সভ্য মানুষের মনে ভয়ের উদ্রেক হয়৷ এমনকী গ্রামের বাড়িগুলিও সাজানো পশুর কাটা মাথা দিয়ে ৷ কোনিয়াকদের গ্রামপ্রধানকে বলা হয় অঙ্ঘ ৷ বহুবিবাহে ছাড় আছে তাদের জন্যে। বর্তমান অঙ্ঘের ৬০ জন স্ত্রী রয়েছে বলে জানা যায়৷ বিরাট ক্ষমতা তার। আশপাশের ৭০টি গ্রামের শাসক তিনি৷ যার কিছু রয়েছে ভারত ভূখণ্ডে, বাকিগুলি মায়ানমারে। আর লংওয়া গ্রামটি ভারত ও মায়ানমার দুই দেশে বিস্তৃত৷ জেনে রাখা ভাল, এটি একটি বিরল আন্তর্জাতিক সীমান্ত৷ যেখানে ভিসা ছাড়াই দু’দেশে যাতায়াত করতে পারেন স্থানীয়রা৷ গ্রামপ্রধানের বাড়িটি এমন জায়গায় যে ভারতে খেয়ে মায়ানমারে ঘুমোতে যেতে হয়। 

লংওয়ার আরও বদনাম আছে। আসলে এখানকার মানুষের জীবিকা হল গাঁজা ও আফিমের চাষ৷ যেহেতু মায়ানমারে মাদকের চাহিদা আছে৷ নিন্দুকেরা বলে, অধিকাংশ কোনিয়াকই নাকি মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত৷ তবুও পর্যকদের পছন্দের ঠিকানা লংওয়া। কেন?

[আরও পড়ুন: বড়সড় নাশকতার ছক! ফের দিল্লিতে মিলল ব্যাগভরতি IED বিস্ফোরক]

যেহেতু ভয় চাখতে ভালবাসে মানুষ। কে ছাড়ে সাক্ষাৎ রূপকথার গল্প থেকে উঠে আসা নরমুণ্ড শিকারি কোনিয়াকদের সামনিসামনি দেখার সুযোগ৷ এখনও নাকি ১৩ জন নৃমুণ্ড শিকারি বেঁচে আছে। আর আছে সবুজ পাহাড়, পাহাড়ি নদী, টলটলে জলের লেক। লংওয়া যেন ভয় আর সুন্দরের নেশা ধরানো সিরাপ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার