সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লখনউ কাণ্ডের পর দিল্লিতে নজর ছিল গোটা ক্রিকেটবিশ্বের। শুধু মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিরাট কোহলির আরসিবি (RCB) কেমন পারফর্ম করছে, সেটা দেখার জন্য নয়। ম্যাচে বিরাট কোহলি নিজেকে বিতর্কে জড়ানো থেকে বিরত রাখতে পারেন কিনা, সেটা দেখার জন্যও। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর ‘গম্ভীর’ পরিস্থিতি তৈরি হয় কিনা, সেটা দেখার জন্য। দিনের শেষে দেখা গেল, কোহলি নিজেকে বিতর্ক থেকে বিরত রাখলেন বটে, কিন্তু বিরাট বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল তাঁর দল আরসিবি।
দিল্লি ক্যাপিটালস এবং আরসিবি এই মরশুমে একবার মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার ‘ডিরেক্টর’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লিকে অনায়াসে হারিয়ে দিয়েছিল বিরাটের আরসিবি। সেই সঙ্গে কৌশলে প্রাক্তন বোর্ড সভাপতির সঙ্গে করমর্দন পর্বও এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার দিল্লিতে ঠিক উলটো ছবি দেখা গেল অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। এবার আরসিবিকে অনায়াসে হারাল দিল্লি। তবে হারের পর বিতর্ক এড়িয়ে হাসিমুখে করমর্দন করলেন বিরাট এবং সৌরভ।
[আরও পড়ুন: অন্ধকারেও কথার ‘আলো’, বিদ্যুৎহীন অবস্থাতেও নিজের ভাষণ চালিয়ে গেলেন রাষ্ট্রপতি!]
ম্যাচের পর যেভাবে দুই দলের ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফরা একে অপরের সঙ্গে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে হাত মেলাতে থাকেন, তেমন হল শনিবারও। আর তাতেই কোহলি এবং সৌরভ (Sourav Ganguly) সামনাসামনি চলে আসেন। কিন্তু এ বার আর একে অপরকে এড়িয়ে যাননি। সৌরভ কাছে টেনে নেন কোহলিকে। তাঁর সঙ্গে হাত মেলান। শুধু তাই নয়, কোহলির কাঁধে হাত রেখে কিছু বলতেও দেখা যায় সৌরভকে। ম্যাচের শেষে খোশমেজাজে ইশান্ত শর্মাদের সঙ্গে গল্প করতেও দেখা যায় ‘লোকাল বয়’ বিরাটকে। লখনউ-তে গম্ভীর কাণ্ডের পর এই ছবি নজর কেড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
[আরও পড়ুন: একাধিকবার হাজিরা এড়িয়ে অবশেষে দিল্লির ইডি দপ্তরে TMC বিধায়ক জাকির হোসেন]
কিন্তু এসব সত্ত্বেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না আরসিবিকে। এদিন বিতর্কে জড়ালেন আরেক তারকা মহম্মদ সিরাজ। অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকল মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj) ও ফিল সল্টের (Philip Salt) মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের। দ্বিতীয় ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মহম্মদ সিরাজের প্রথম ৩টি বলে ২টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন ফিল সল্ট। পরের বলেও ব্যাট চালিয়েছিলেন দিল্লি ব্যাটার। যদিও বল ব্যাটে লাগেনি। তারপর সিরাজ কার্যত আঙুল উঁচিয়ে ব্যাটিং ক্রিজে পৌঁছে যান। আঙুল তুলে সল্টের উদ্দেশে অনেককিছু বলতে দেখা গিয়েছে সিরাজকে। নেটিজেনরা বলছেন, সিরাজের এই ধরনের আচরণ একেবারেই কাম্য ছিল না।